দেশটির ভ্যাকসিন কমিটির দাবি, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য নেই
বয়স্কদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তথ্য নেই, তাই অক্সফোর্ডের টিকা ৬৫ বছরের চেয়ে কম বয়সীদের দিতে চায় জার্মানি।
দিনকয়েক আগেই জার্মানির দুইটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন নিয়ে প্রবল হইচই শুরু হয়। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের উপর কাজ করে না। সেখানে সাফল্যের হার মাত্র ৮%।
যদিও এরপর সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তারা জানিয়েছিল, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও তাদের টিকা সমান কার্যকর। দুইটি ডোজ নেওয়ার পর ১০০% ক্ষেত্রে বয়স্কদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
তবে তারপরেও জার্মানির ভ্যাকসিন কমিটি জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ৬৪ বা তার কম বয়সীদেরই দেওয়া উচিৎ। এক প্রতিবেদনে এসব খবর জানিয়েছে জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে।
ভ্যাকসিন কমিটির দাবি, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য নেই। তাই এই টিকা ৬৫-র কম বয়সীদের দেওয়া উচিৎ।
কমিটির বক্তব্য, ''৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর, সেসম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তাই এখন ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের এই টিকা দেওয়া হোক।''
ভিন্ন মত যুক্তরাজ্যের
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি জার্মান কমিটির সুপারিশ একেবারেই মানতে রাজি নন। তার দাবি, ''আমাদের কমিটি ও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের টিকা খুবই ভালো ও কার্যকর।''
অ্যাস্ট্রাজেনেকার মুখপাত্রও বলেছেন, ''সর্বশেষ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য প্রমাণ করেছে, এই ভ্যাকসিন বয়স্কদের ক্ষেত্রেও সমান কার্যকর।''
ভ্যাকসিন সংখ্যায় কম
গত বুধবারই ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকা কম ভ্যাকসিন দিয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের কাছেও কম ভ্যাকসিন আছে এবং আগামী এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে।
মতামত দিন