কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউনের আওতায় নিতে হচ্ছে ইউরোপের অনেক শহরকে৷ এর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ লাগছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে৷ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউনের আওতায় নিতে হচ্ছে অনেক শহরকে৷ তবে অনেকেই স্বাস্থ্যঝুঁকিকে গুরুত্ব না দিয়ে নেমে পড়ছেন লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভে৷
লন্ডনে বিক্ষোভ
ব্রিটেনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে৷ এপর্যন্ত ৮ লাখ ৯৪ হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত আর ৪৫ হাজারের বেশি আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হলেও গত দু’মাসে সংক্রমণ বেশ কমেছিল৷ তবে আবার দিনে শতাধিক মৃত্যু আর প্রায় ২১ হাজার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে দেশটিতে৷ এই পরিস্থিতিতেই লন্ডনে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ৷
‘স্বাস্থ্যবিধির কোনো দরকার নেই’
দিনে গড়ে ২১ হাজার মানুষের সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টিকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না বিক্ষোভকারীরা৷ তারা মনে করে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আপনা-আপনিই সেরে যাবে৷ তাই লন্ডনে ২৪ অক্টোবরের লকডাউনবিরোধী মিছিলে এক বিক্ষোভকারীর প্ল্যাকার্ডে লেখা, “ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করো না, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাই তা করবে৷”
‘ভ্যাকসিন চাই না’
গত ২৪ অক্টোবর লন্ডনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেক বিক্ষোভকারী মনে করেন ভ্যাকসিন বা লকডাউনের কোনো দরকার নেই৷ তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো, ‘‘আমাদের ভ্যাকসিনেশনের দরকার নেই৷ আমাদের জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণের দরকার নেই৷”
লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। রয়টার্স
ইতালিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
ইতালিতেও চলছে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ৷ অথচ ইউরোপের প্রথম করোনাভাইরাস এপিসেন্টার ছিল এই দেশ৷ সেখানে প্রায় ৫ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের সংক্রমণ এবং ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ করোনাভাইরাস৷ অথচ দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার নির্দেশ আসতেই রোম নগরীতে পুলিশের সঙ্গে প্রচণ্ড সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা৷
মতামত দিন