ইউরোপের অনেক ব্যবসায়ী ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও চীনের ব্যবসায়ীদের সাথে এধরনের বাণিজ্য করছে
ইউরোপের কয়েকটি দেশে বাঘের এমন অবৈধ খামার রয়েছে, যেখানে বাঘের প্রজনন করা হয়৷ বাঘ কিংবা বাঘের শরীরের বিভিন্ন অংশ বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জনও করে অসাধু ব্যবসায়ীরা৷ এক প্রতিবেদনে এখবর জানিয়েছে জার্মান সংবাদসংস্থা ডয়েচে ভেলে।
সম্প্রতি বন্যপ্রাণীদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড-ডব্লিওডব্লিওএফ ও ট্রাফিকের গবেষণায় এতথ্য পাওয়া গেছে৷ এভাবে প্রজনন ও বাজারজাতকরণের ফলে বাঘের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে আশঙ্কা সংগঠনটির৷
প্রতিবেদনে সংগঠনটি জানায়, ইউরোপের অনেক ব্যবসায়ী ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও চীনের ব্যবসায়ীদের সাথে এধরনের বাণিজ্য করছে৷
গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০৩টি বাঘ সরাসরি রপ্তানি করা হয় আর পূনঃরপ্তানি হয় ৮৪টি বাঘ৷ এরমধ্যে ৪৩টি বাঘ ব্যবসায়িক কাজে রপ্তানি ও পুনঃ-রপ্তানি করা হয়৷ এসময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৯৫টি বাঘ ও বাঘের শরীরে বিভিন্ন অংশের রপ্তানির চালান আটক হয়৷ সবচেয়ে বেশি চালান আটক হয় যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও স্পেনে৷
ইউরোপের আইন অনুযায়ী শিক্ষা ও গবেষণার কাজ ছাড়া বাঘের বাণিজ্যিক উৎপাদন নিষেধ৷
ডব্লিওডব্লিওএফ-এর কর্মকর্তা হিথার সোল বলেন, “ইউরোপের দেশগুলো যদিও এশিয়াতে বাঘের বাণিজ্যিক উৎপাদন বন্ধের বিষয়ে সোচ্চার কিন্তু বাঘের বিশ্ব বাজারের বড় ব্যবসায়ী তারা৷”
নির্বিচারে বন ধ্বংসের ফলে হুমকির মুখে পড়ছে বাঘ প্রজাতি৷ অন্যদিকে বাজারে বাঘের চামড়া, হাড় ও এর অন্যান্য অংশের বাণিজ্যিকীকরণ তার অস্তিত্বকে আরো হুমকির মুখে ফেলছে৷
মতামত দিন