জেল ভাঙার আসল কারণ এখনও জানা যায়নি। পালিয়ে থাকা ৩৩ কয়েদির সন্ধান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ
পাপুয়া নিউগিনির (পিএনজি) দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লায়ে জেল ভেঙে পালানোর সময় গুলিতে ১১ বন্দি নিহত হয়েছে এবং এখনও পলাতক রয়েছে ৩৩ জন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) স্থানীয় সংবাদপত্র পোস্ট কুরিয়ার জানিয়েছে, কারাকর্তৃপক্ষ পালিয়ে যাওয়া এক বন্দিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
পিএনজি’র সার্ভিস কমিশনার স্টিফেন পোকানিস’র বরাত দিয়ে সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে লা’র বুইমো কারাগারে এঘটনা ঘটে।
জেল ভেঙে পালানোর সাথে জড়িত ৪৫ জন বন্দির মধ্যে ১০ জনকে একটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং ৩৫ জন বিচারের অপেক্ষায় রিমান্ডে ছিলেন বলে জানা গেছে।
রিমান্ডে থাকা ব্যক্তিরা আদালতের মামলার শুনানিতে দীর্ঘ বিলম্বের বিষয়ে অভিযোগ করে আসছিলেন বলে কারাকর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানান পোকানিস।
তিনি বলেন, “বন্দিরা তাদের উদ্বেগের কথা জানানোর পর এবিষয়টি তাদের কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন জেলের কমান্ডার। তিনি বন্দিদের বুঝিয়ে বলেছিলেন যে করোনাভাইরাসের কারণে আদালত শুনানি সীমিত ছিল, কিন্তু ওই বন্দিরা তার ব্যাখ্যা গ্রহণ করেননি।”
এর পরিবর্তে, তারা শুক্রবার বিকালে কারাগারের গেটে জড়ো হয়। তাদের মধ্যে একজন বন্দি অসুস্থ উল্লেখ করে তার চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় এবং তাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়।
পোকানিস আরও জানান, অসুস্থ বন্দিকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা একসাথে গেটের দিকে ছুটে যায় এবং কম্পাউন্ডের বাইরের গেটে যাওয়ার আগে ডিউটি অফিসারকে রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে।
তবে কিছু কর্মকর্তার সন্দেহ, কোভিড-১৯ এর আশংকায় এঘটনা ঘটে থাকতে পারে কারণ কারাগারে একজন ওয়ার্ডেন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল।
তবে জেল ভাঙার আসল কারণ এখনও জানা যায়নি এবং এবিষয়ে তদন্ত চলছে। এদিকে, পালিয়ে থাকা ৩৩ জনের সন্ধান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
মতামত দিন