তালেবানদের হামলায় ওই কিশোরীর বাবা-মা মারা যাওয়ার পর অস্ত্র হাতে একাই প্রতিরোধ করে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করেন তিনি
তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে “বীরত্ব” প্রদর্শন করায় আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশের এক কিশোরীকে নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তালেবান জঙ্গিদের হামলায় ওই কিশোরীর অভিভাবকরা মারা যাওয়ার পর অস্ত্র হাতে একাই প্রতিরোধ করে তালেবানদের পিছু হটতে বাধ্য করেন তিনি।
ঘোর প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তালেবানদের হামলার জবাবে পরিবারের একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে ওই কিশোরীর পাল্টা আক্রমণে দুইজন তালেবান সেনা মারা যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, তালেবানরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল কারণ ওই কিশোরীর বাবা সরকার সমর্থক ছিলেন।
ঘোর প্রদেশের সরকারি একজন মুখপাত্র মোহাম্মদ আরেফ আবেরের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছে যে, ১৭ই জুলাই রাত একটার দিকে তালেবান জঙ্গিদের দলটি ওই কিশোরীর বাসায় উপস্থিত হয়। জঙ্গিদের গুলিতে কিশোরীর মা ও বাবা মারা যাওয়ার পর ঘরের ভেতর থেকে ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করে ওই কিশোরী।
ওই ঘটনার পর অস্ত্র হাতে ওই কিশোরীর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এক দফা পিছু হটার পর তালেবানরা ওই কিশোরীর বাড়িতে আবার হামলা চালানোর চেষ্টা চালালেও গ্রামবাসী ও সরকার সমর্থিত সেনাদের বাধার মুখে পিছু হটে।
কর্মকর্তারা বলছেন কিশোরীর বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাকে এবং তার ছোট ভাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে অনুন্নত প্রদেশ ঘোর এবং সেখানে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার হার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি।
মতামত দিন