স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা এই হ্যান পরিবার। এই দম্পতির ১৩ সন্তানের ১০জনই তাদের সাথে থাকে এবং তাদের বয়স ৫ থেকে ২৮'এর মধ্যে
যুক্তরাজ্য প্রথমবার যখন লকডাউন ঘোষণা করে লকডাউনের সময় কী কী করতে হবে তার নির্দেশনা দেওয়া হয়, রয় ও এমা হ্যান তাদের সন্তানদের জন্য রুটিন তৈরি করেন এবং পারিবারিকভাবে সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন।
স্কটল্যান্ডের ডাণ্ডি শহরের বাসিন্দা এই হ্যান পরিবার, যারা স্কটল্যান্ডের বৃহত্তম পরিবারগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত।
এই দম্পতির ১৩ সন্তানের ১০জনই তাদের সাথে থাকে এবং তাদের বয়স ৫ থেকে ২৮'এর মধ্যে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রয় যখন জানতে পারেন যে তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ, পরিবারটির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
নাইনওয়েলস হাসপাতালে নার্স রয় বলেন, "কয়েকদিন আগে আমি সংক্রমিত হয়েছি আর উপসর্গ অত্যন্ত মৃদু। হাসপাতালে আমরা অনেক কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে থাকি। কাজের বাইরে থেকে আমার বেশ দুঃখ হচ্ছে।"
যেভাবে কোয়ারেন্টিন করছে পুরো পরিবার
হ্যানদের পুরো পরিবার এখন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শুধু রয়'এর ৭ দিন আইসোলেশনে থাকার কথা রয়েছে।
৫০ বছর বয়সী রয়ের টাইপ-২ ডায়বেটিস রয়েছে। তিনি জানান যে তিনি বেশ ভালই আছেন এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।
রয় বলেন, "আমাদের বাসায় একসাথে এত মানুষ রয়েছে, আমরা নিজেদের মধ্যে মজা করি যে আমাদের 'হার্ড ইমিউনিটি' বা সংঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।"
এমা বলেন, "যেহেতু আমরা একটি বড় পরিবার, আমাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়গুলো পালন করা বেশ কঠিন। একবার দোকানে গিয়ে আমরা একটি পণ্য বেশি পরিমাণে কিনতে পারি না, তাই আমাদের বারবার যেতে হয়। আর তার ফলে আমরা অন্যদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে থাকি।"
এমা জানান, তিনি পরিবারের সদস্যদের শুরুতে যখন রয়ের অসুস্থতা সম্পর্কে জানান, প্রথমদিন তারা এত চমকে গিয়েছিল যে অনেকক্ষণ কোনো কথাই বলতে পারেনি।
তবে, এক-দু'দিনের মধ্যেই পরিবারের সদস্যরা ব্যাপারটির সাথে অভ্যস্ত হয়ে যান। আর এখন প্রায় প্রতিদিনই হ্যান পরিবারের ১২জন সদস্য তাদের বাগানে বাস্কেটবল খেলেন।
এমা মনে করেন, এই ছোট কিন্তু সহজ বিষয়টিই তাদের পুরো পরিবারকে এই পরিস্থিতিতে একতাবদ্ধ রাখতে সহায়তা করছে।
মতামত দিন