এমন ভুলের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেন আদালত।
জেলখানা থেকে আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা শোনা গেলেও কারা কর্তৃপক্ষের ভুলে বন্দির ছাড়া পাওয়া ঘটনা বোধহয় বিরল। তবে সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায়। ভুল করে সেখানকার কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এক বন্দিকে। তবে ছাড়া পেয়ে পালাননি তিনি, হাজির হয়েছেন আদালতে।
কারা কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জেলার প্রধান বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, গত মাসের ২৬ তারিখ বেলদার এলাকার বাসিন্দা চন্দন গড়াইকে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। স্ত্রী নির্যাতনের পাশাপাশি ভরণ-পোষণ সংক্রান্ত একটি মামলাও ছিল তার বিরুদ্ধে।
বুধবার মেদিনীপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রসূন ঘোষের আদালতে চন্দনের স্ত্রী নির্যাতনের মামলার শুনানি ছিল। সে অনুযায়ী থানা থেকে মামলার কাগজ আদালতে পাঠানো হলেও পাওয়া যাচ্ছিল না অভিযুক্তকে। একসময় পুলিশের কাছে আসামি কোথায় জানতে চাইলে বলা হয়, অভিযুক্ত কারা হেফাজতে। মামলার নথিতেও তেমনটাই উল্লেখ ছিল।
সঙ্গে সঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বন্দির অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
বিচারকের নির্দেশে এদিন দুপুরেই অন্য এক কর্মকর্তাকে নিয়ে আদালতে হাজির হন জেল সুপার। ক্ষমাপ্রার্থানা করে তারা জানান, ভুল করে সোমবার ওই বন্দিকে তারা ছেড়ে দিয়েছেন।
কারণ হিসেবে বলা হয়, গত ২৫ মার্চ অন্য একটি মামলায় শুনানি ছিল চন্দনের। সেই মামলায় ওইদিনই জামিন পেয়ে জেলে ফিরে যাওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষের কাছে চন্দনের জামিনের কাগজও পৌঁছয়। সেই কাগজ দেখেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অন্য একটি মামলায় তিনি যে সাজাভুক্ত আসামি, সে কথা বেমালুম ভুলে যায় কর্তৃপক্ষ!
এমন ভুলের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেন আদালত।
এদিকে, বুধবারই হাজিরার তারিখ থাকায় ওই আসামি নিজেই চলে এসেছিল আদালতে। তার আইনজীবী তাকে বিচারকের কাছে নিয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আবার আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মতামত দিন