ক্ষতিপূরণ যাতে বাড়ির বাইরে না যায়, তার জন্য শ্বশুরবাড়ির সকলে দেবরের সঙ্গে তার বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন
ক্ষতিপূরণের টাকা যাতে বেহাত না হয় সেজন্য ভারতের পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় নিহত ভারতীয় সেনা এইচ গুরুর স্ত্রীকে তার দেবরের সাথে বিয়ে করার জন্য শ্বশুরবাড়ির পরিবার তাকে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এ ব্যাপারে নিরুপায় হয়ে পুলিশের কাছে নিজেই অভিযোগ করেছেন গুরুর স্ত্রী ২০ বছর বয়সী কলাবতী।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর মৃত্যুতে পাওয়া ক্ষতিপূরণ যাতে বাড়ির বাইরে না যায়, তার জন্য শ্বশুরবাড়ির সকলে দেবরের সঙ্গে তার বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপি জওয়ানের মৃত্যু হয়। নিহতের মধ্যে ছিলেন ৩৩ বছর বয়সি গুরুও। এর মাত্র ১০ মাস আগে গুরু ও কলাবতীর বিয়ে হয়।
এদিকে, পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় নিহত সেনাদের পরিবারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে একাধিক সংগঠন। একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ রুপি সাহায্যের ঘোষণা দেয়। এছাড়াও, আরও বেশ কিছু বেসরকারি সংগঠন সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার ও সিআরপিএফের পক্ষ থেকেও নিহত জওয়ানদের প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে, গুরুর পরিবারকে ২৫ লক্ষ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। সেই সঙ্গে কলাবতীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, প্রয়াত কন্নড় অভিনেতা অম্বরীশের স্ত্রী সুমালতা গুরুর স্ত্রীকে দেড় বিঘা জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সব মিলিয়ে কলাবতী আর কিছুদিনের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ রুপি এবং বিপুল পরিমাণ জমির মালিক হতে চলেছেন। এই বিপুল সম্পদের লোভেই তাকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের এই টানাটানি।
এদিকে, কলাবতীর অভিযোগ আমলে নিলেও কোন মামলা দায়ের করেনি মান্ড্য পুলিশ। তবে, বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে গুরুর পরিবারকে সতর্ক করেছেন তারা।
মতামত দিন