লুভ্যরে সর্বমোট ৩৫ হাজার নিদর্শনের মধ্যে সাড়ে ১৭ হাজার নিদর্শনই মুসলিম সভ্যতার
বিশ্বে মুসলিম শিল্প ও পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের অন্যতম বৃহৎ সংগ্রহশালা ফ্রান্সের বিখ্যাত শিল্প ও পুরাতাত্ত্বিক লুভ্যর যাদুঘর। লুভ্যরে সর্বমোট ৩৫ হাজার নিদর্শনের মধ্যে সাড়ে ১৭ হাজার নিদর্শনই মুসলিম সভ্যতার।
তুরস্কের ৭০ বছরের পুরোনো সংবাদমাধ্যম হারিয়েত এর তথ্যানুযায়ী লুভ্যর যাদুঘরেই রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম নিদর্শন। যাদুঘরটির ইসলামি সংস্কৃতির সংগ্রহশালা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ।
গত বছর লুভ্যর যাদুঘর পরিদর্শন করেন ৮১ লাখ পর্যটক। ১২ শতকের সময় থেকে ১৯ শতকের মাঝামাঝি অনেক মুসলিম নিদর্শন এ যাদুঘরে দর্শকদের নজর কাড়ে যার মধ্যে ইসলামের প্রথম শতকের বিভিন্ন নিদর্শনও রয়েছে।
১৯০৫ সালে প্রথমবার লুভ্যর যাদুঘরে মুসলিম নিদর্শনের একটি শাখা খোলা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মুসলিম নিদর্শনের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে যাদুঘরটিতে। ২০০৩ সালে যাদুঘর কর্তৃপক্ষ মুসলিম নিদর্শনগুলো নিয়ে আলাদা বিভাগ খোলে যার উদ্বোধন করেন ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলান্দে। সুলতান সুলেমানের তরবারি থেকে শুরু করে প্রাচীন ইসলামী চিত্রকর্ম, নির্মাণ সৌকর্যের নিদর্শন সহ বিবিধ নিদর্শন বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে সংগ্রহের পর এ যাদুঘরটিতে স্থান পেয়েছে।
সুলতান মামলুকের আমলের তৈরি নৌকা যেটি ১৩২০ থেকে ১৩৪০ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল তা দর্শকদের চিত্ত হরণ করে। আর এসব নিদর্শনের অনেকগুলো ফ্রান্সের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশও বটে। ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার পর লুভ্যর যাদুঘরে এই মুসলিম নিদর্শনের শাখায় দর্শকদের আগমন কমে যায়। তবে যারা এখানে আসেন তারা ইসলাম সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা নিয়েই ফেরেন।
এ বিভাগটির পরিচালক লিন্ৎজ বলেন, ইসলাম ও এর সংস্কৃতি সম্পর্কে এক সমৃদ্ধ ধারণা পান দর্শকরা এখানে এলে। ৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের হাতির দাঁতের তৈরি একটি গহনার বাক্স দেখে অনেক দর্শক বিমোহিত হন।
অটোমান সুলতান সেলিম দ্বিতীয়’র তৈরি একটি গম্বুজ নিয়ে ফ্রান্স ও তুরস্কের মধ্যে আলোচনা চলছে। কারণ লুভ্যর যাদুঘরে সংরক্ষিত এ নিদর্শনটির মালিকানা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে তুরস্ক।
মতামত দিন