অতীতেও বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই বিজেপি নেতা।
হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে ভারতের উচিৎ হবে বাংলাদেশ দখল করে নেয়া এমন মন্তব্যই করেছেন বিজেপি রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। রবিবার এই বিজেপি নেতা বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ কথা বলার পাশাপাশি পাকিস্তান বিষয়েও মন্তব্য করেন।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মন্তব্য করেন, ‘পাকিস্তান পরিচালনা করে সামরিক বাহিনী, আইএসআই এবং উগ্রপন্থীরা’। এ ছাড়াও তিনি দেশটির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘দপ্তরি’ বলে আখ্যা দেন।
অতীতেও বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এই বিজেপি নেতা। ২০১৪ সালে এই নেতা দাবি করেছিলেন, ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে৷ তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশে৷ তা না হলে খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা টেনে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড ভারতের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।
ভারতের আগরতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, “ভারত বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বন্ধ করবে না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওইসব পাগল ব্যক্তিদের সাবধান করে দেওয়া উচিৎ যারা হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে, মন্দিরের স্থানে মসজিদ তৈরি করে এবং হিন্দুদের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে। বাংলাদেশ যদি হিন্দুদের ওপর এই অত্যাচার বন্ধ না করে, তাহলে আমি সরকারকে পরামর্শ দিবো বাংলাদেশে আক্রমণ চালাতে ও দখল নিয়ে নিতে।”
অন্যদিকে পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইমরান খান একজন ‘দপ্তরি’ ব্যতিত কিছুই নন, কারণ ওই দেশ (পাকিস্তান) চালায় সামরিক বাহিনী, আইএসআই এবং উগ্রপন্থীরা। তাকে হয়তো প্রধানমন্ত্রী বলা হতে পারে, আদতে সে দপ্তরি।”
বিজেপির এই জ্যৈষ্ঠ সাংসদ আরও বলেন, “পাকিস্তানের সমাধান শুধু একটাই। বেলোচিস পাকিস্তানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না, সিন্ধুরা পাকিস্তানের অংশ হিসেবে থাকতে চায় না, পশতুরাও পাকিস্তানের অংশ হতে চায় না, সুতরাং পাকিস্তানকে চারটি খণ্ডে বিভক্ত করে ফেলা- (বেলোচ, সিন্ধ, পশতুন) এই তিনটি আর পশ্চিম পাঞ্জাব।”
মতামত দিন