মাটিতে পড়ে যাওয়া সামাদ নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলেও একের পর এক আঘাতে দমে যান।
ভারতের উত্তর প্রদেশে প্রকাশ্যে অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে দেশটির এলাহাবাদ শহরের রাস্তায় ৭০ বছর বয়সী আবদুল সামাদ খানকে লাঠি দিয়ে পেটাতে দেখা যায় তিন ব্যক্তিকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে জানা গেছে, নিকটবর্তী সিসিটিভি ফুটেজে সম্পূর্ণ ঘটনাটিই ধরা পড়েছে।
সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তার দেহ নিথর হয়ে আসা এবং এক হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তার ওপর হামলা চলে এবং সে সময় আশপাশে অনেকের উপস্থিতি দেখা গেলেও, কেউই আক্রান্তকে রক্ষায় এগিয়ে আসেননি বলেই জানিয়েছে এনডিটিভি। গুরুতর আহত সামাদ খান পরবর্তীতে হাসপাতালে মারা যান।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক সামাদ খান সাইকেল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় লাল শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি পেছন থেকে তার ওপর হামলা চালান এবং লাঠি দিয়ে অনবরত পেটাতে থাকেন। মাটিতে পড়ে যাওয়া সামাদ নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলেও একের পর এক আঘাতে দমে যান।
৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটিতে বেশ কয়েকটি সাইকেল ও মোটরসাইকেল এবং পথচারীকে হামলার স্থানের পাশ দিয়ে চলে যেতে দেখা গেছে। বাহনগুলোর চালকেরা কিছুক্ষণের জন্য নিজেদের বাহনের গতি কমালেও কেউই সাবেক ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। কিছুক্ষণ পর আরও দুই ব্যক্তিকে লাল শার্ট পরিহিত হামলাকারীর সঙ্গে যোগ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে পেটাতে শুরু করেন। তিন জনের হামলায় বিপর্যস্ত সামাদ খান একসময় হাল ছেড়ে দেন। দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসা গুরুতর আহত সামাদকে রেখে হামলাকারীরা চলে যান।
জুনাইদ নামের এক ব্যক্তিকে হামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। জুনাইদের নামে ইতোমধ্যেই থানায় অন্তত ১০টি মামলা আছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এলাহাবাদ পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অুনসারে, সামাদ খানের ওপর হামলার পেছনে আত্মীয়দের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ তাদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার।
আল্লাহবাদের পুলিশ প্রধান ব্রিজেশ শ্রিবাস্তব বলেছেন, সামাদ খানের মেয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত মূল সন্দেহভাজন জুনাইদ কামালসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মতামত দিন