দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো এখন সৌদি নারীদের ঝোঁকে পরিণত হয়েছে।
গাড়ি চালানোর অনুমতি পাওয়ার পর এখন গতির স্বাদ নিতে ইচ্ছুক সৌদি নারীরা। তারা বিভিন্ন ধরনের দ্রুত গতির গাড়ি চালনায় আগ্রহী হয়ে উঠছে। কয়েক মাস আগেও সৌদি নারীদের এমন ইচ্ছার বিষয়টি ছিল অকল্পনীয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাড়িচালনার অনুমোদন দিলেও রক্ষণশীল দেশটিতে নারী গাড়ি চালকদের জন্য মাথা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক।
৩০ বছর বয়সী সৌদি নারী আলমিমোনি গাড়ি চালানোর ব্যাপারে খুব আগ্রহী। নারীরা সুন্দর উজ্জ্বল রঙের গাড়িই পছন্দ করছে। আলমিমোনি বলেছেন, “আমি খুব দ্রুত গাড়ি চালাতে ভীষণ পছন্দ করি। আমি ৫শ’ হর্সপাওয়ারের চেয়েও দ্রুত গতির গাড়ি চালানোর স্বপ্ন দেখি।”
গাড়ি চালনার অনুমোদনের পর আলমিমোনি এখন সরকারের নারীদের ‘রেসিং লাইসেন্স’ দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তাহলে মোটর স্পোর্টস কম্পিটিশনে যোগ দিতে পারবেন তিনি। এএফপি-এর তথ্য অনুযায়ী, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো এখন সৌদি নারীদের ঝোঁকে পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গাড়ি চালনা প্রশিক্ষক ফালাহ আল-জারবা বলেন, “অধিকাংশ নারীরা কিভাবে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো যায়, সেই কৌশল রপ্ত করতে আসেন। তারা আমাদের কাছে জানতে চান কোন গাড়ি তারা এভাবে চালাতে পারবেন, তাদের সেটি শিখতে কতদিন লাগবে।” যেসব নারী প্রথমবার গাড়ি চালাচ্ছেন সৌদি আরবের পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের সহায়তা করছে।
সৌদি নারীদের গাড়িচালনা প্রসঙ্গে ৫৭ বছর বয়সী রিয়াদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নাগওয়া মুসা বলেন, “আমার মনেই হচ্ছে না যে আমি সৌদি আরবে আছি।” তবে এই মুহূর্তে যেসব নারীর বিদেশী লাইসেন্স রয়েছে, শুধু তারাই কেবল সৌদি আরবে গাড়ি চালাতে পারছেন। এর জন্য তাদের বাড়তি একটি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের গাড়ি চালাতে বেশি ফি নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও এখনও প্রশিক্ষণকেন্দ্রেগুলোতে নারী প্রশিক্ষকের সংখ্যা খুবই স্বল্প।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আরব গাল্ফ স্টেটস ইনস্টিটিউটের ক্রিস্টিন ডিওয়ান বলেছেন, “সৌদি নারীদের জন্য সৌদি সরকার বিনোদনের সুযোগ বাড়াচ্ছে, কিন্তু রাজনীতিতে নারীদের অবস্থান নেই। নারীরা এখন দ্রুততার উত্তেজনা অনুভব করতে পারলেও তাদের বাক স্বাধীনতা নেই।”
মতামত দিন