ধন্যবাদ জানিয়ে ‘ভালো মানুষ’ হয়ে ওঠার অঙ্গীকার করে থাই কিশোররা।
জীবনের বিনিময়ে জীবন। নতুন প্রাণ ফিরে ফেলো আগামী প্রজন্মের কিছু তরুণ। বাস্তব চিত্র কখনও হার মানায় রূপকথার গল্পকে। নিজের জীবন বাজি রেখে বাঁচিয়েছেন নবীন কিশোরদের।
বলছিলাম থাই কিশোরদের উদ্ধার অভিযানে জীবন উৎসর্গকারী থাই নেভির সাবেক ডুবুরি সামারান কুনানের কথা।
১ জুলাই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে ৬ জুলাই অক্সিজেনের অভাবে গুহায় প্রাণ হারান সামারান। দুনিয়াজুড়ে তার জীবন উৎসর্গের খবর রটে যায়।
কিন্তু যাদের জন্য এই প্রাণ ত্যাগ এতোদিন তাঁদের অজ্ঞাত ছিল বিষয়টি। মানসিক চাপের কথা বিবেচনা করে এই খবর এতোদিন গোপন রাখা হয়েছিল উদ্ধারকৃত থাই কিশোরদের কাছ থেকে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সূত্র অনুযায়ী, শনিবার প্রথমবারের মতো তাদেরকে জানানো হয়েছে সামারানের মৃত্যুর খবর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার মৃত্যুর খবরে শোকাচ্ছন্ন হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে কিশোররা। প্রায় তিন সপ্তাহ গুহায় থাকা ওই কিশোরদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটছে এবং শিগগির তারা বাড়ি ফিরে যাবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য মতে, থাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব জেডসাডা চকদামরংসুক জানান, খবর শুনেই ‘প্রত্যেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সামারানের একটি চিত্রে তারা বিভিন্ন বার্তা লিখে সমবেদনা প্রকাশ করে এবং তাকে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করে’। তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘ভালো মানুষ’ হয়ে ওঠার অঙ্গীকারও করে কিশোররা।
মতামত দিন