অনেকেই অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণেও কোভিডের পরবর্তীতে অনেক সমস্যায় ভোগেন এমনকি, লং কোভিড জটিলতার ঝুঁকিতেও পড়েন।
করোনাভাইরাস একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগের কারণ। এ রোগের উপসর্গগুলো বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং বিপজ্জনকও বটে। এমনকি, এ ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পেলেও, এর দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোও আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনেকেই আবার উপসর্গবিহীন ভাবেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকেন কিংবা হালকা থেকে মাঝারি উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হন।
কিন্তু, অনেকেই অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণেও কোভিডের পরবর্তীতে অনেক সমস্যায় ভোগেন এমনকি, লং কোভিড জটিলতার ঝুঁকিতেও পড়েন।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর ২০২০ সালের জরিপ থেকে জানা যায়, মানুষ করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলো থেকে সেরে উঠে তাদের নিয়মিত জীবনধারায় ফিরে আসতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে থাকে। এ দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণগুলো ব্যক্তির বয়সভেদে ভিন্ন হতে পারে।
সচরাচর কোভিডে আক্রান্ত হলে রোগীদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু, অনেকের ক্ষেত্রে সেটা কোভিড থেকে সেরে উঠার পরেও রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ রক্ত জমাট বাঁধা থেকেই, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হতে পারে। এছাড়াও, হার্টে ব্লকও সৃষ্টি করতে পারে।
কোভিড থেকে সেরে উঠার পর অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগ দেখা দিয়ে থাকে। শুধু বয়স্করাই নন, এ ঝুঁকিতে রয়েছেন তরুণেরাও।
এ ভাইরাস শুধু শারীরিকভাবেই নয় মানসিকভাবেও আমাদের ক্ষতি করে থাকে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই মানুষ অনেক বেশি চিন্তিত ছিল, তার ওপর লকডাউনের কারণে হওয়া অর্থনৈতিক অবস্থার অবগতির কারণে আমরা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত। যা হার্টের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের রোগীদের সুস্থ হওয়ার দুই মাস পরে নিয়মিত হার্ট স্ক্রিনিং বা কমপক্ষে আধা ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়াও, পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলা, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
মতামত দিন