মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে আনসার কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মানববন্ধন করে তারা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম নূর হোসাইন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ও সহপাঠীদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চট্গ্রাম থেকে আসা দুজন ভাগ্নেকে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে যান নূর হোসাইন। এসময় দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ বলে তাদেরকে ঢুকতে বাধা দেয়। যদিও ভেতরে টাকা দিয়ে অনেক দর্শনার্থী প্রবেশ করছিল। টাকা দিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করছে দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করেন নূর। এ সময় ভিতরে থাকা দর্শনার্থীদের ভিডিও করতে গেলে আনসার সদস্যরা তাকে স্মৃতিসৌধের ভিতরে একটি কক্ষে আটকে রেখে মারাত্মকভাবে আঘাত করে তাকে। এরইমধ্যে নূরের বড় ভাগ্নে জাতীয় জরুরি সেবা- ৯৯৯ এ ফোন করলে নিকটস্থ থানা থেকে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “আমি ঘটনার সময় লাঞ্চের জন্য বাড়িতে ছিলাম। ঘটনার পর অফিসে এসে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। ট্রিপল নাইনে ফোন করার কারণে পুলিশও এসেছিল। পরে তার চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি আমার এক কর্মচারীর মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি যে, ওনারা তিন জন এখানে বেড়াতে এসেছেন। কিন্তু আমাদের ছুটি থাকায় আনসার সদস্যরা ভিতরে প্রবেশ করতে দেয় নাই। ভেতরে কিছু লোক ছিল। তখন উনি (নূর) আনসার সদস্যদের কাছে ভিতরে অন্যান্য লোক থাকলে তাদেরকে কেন ঢুকতে দেওয়া হবে না তা জানতে চান। এরই মধ্যে উনি ভিডিও করতে চাইলে আনসার সদস্যরা তার মোবাইল কেড়ে নিতে যায়। বাক-বিতণ্ডার এক র্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।”
নূরকে উদ্ধারকারী আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক হাসিব শিকদার বলেন, “৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
মতামত দিন