আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত ভালো হবে, ভাইরাসের ভয়াবহতা তত কম হবে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এর ফলে আক্রান্ত রোগী শুরুতে দুর্বল অনুভব করে। তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত ভালো হবে, ভাইরাসের ভয়াবহতা তত কম হবে।
রোগ প্রতিরোধের দায়িত্বটা মূলত খাবার-দাবারের ওপর নির্ভর করে থাকে। তবে বিষয়টা এমন নয় যে বেশি বেশি খেয়ে হবে, এটা একদমই ভুল ধারণা। আসলে, খাবার হতে হবে উপযুক্ত যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কোভিডে আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে কিছু খাবার না খাওয়াই ভালো। সেগুলো হলো:
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত লবণ:
প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোতে লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। দুর্বল শরীরে লবণ খেলে রোগীর শরীরের জন্যে ক্ষতি হতে পারে। এতে করে রোগীর বমি হতে পারে এমনকি, অন্য জটিলতা বাড়তে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার:
অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এর ফলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল তথা এলডিএল বেড়ে যেতে পারে। এতে করে হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। কোভিডের চাপের সাথে সাথে রক্তের চর্বি বেড়ে গেলে রোগীর স্ট্রোক করার ঝুঁকিও বাড়ে। রোগীকে স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন ডিম, আভোকাডো ফল, বাদাম এসব খাবার খাওয়াতে হবে।
ক্যাফেইন:
কোভিড রোগীদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি থাকা জরুরি। ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় শরীরকে পানিশূন্য করে দেয়। তাই এ সময় চা, কফি জাতীয় পানীয় রোগীকে দেয়া যাবে না। এর চাইতে গ্লুকোজ পানি, ডাবের পানি, সবজি স্যুপ বা হলুদের গুঁড়া মেশানো হালকা গরম দুধ রোগীর পুষ্টি পূরণে সহায়তা করবে।
অ্যালকোহল ও ধূমপান:
অ্যালকোহল ও ধূমপান দুটোই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির যদি এইসবে অভস্ত্য হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই তাকে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এসময় এগুলো রোগীর শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে তুলতে পারে, যেটি মোটেই ভালো দিক নয়। এছাড়াও এতে করে ফুসফুসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মতামত দিন