লিপস্টিক দেওয়ার সময় বুদ্ধি করে কিছু পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করলে ঠোঁট হয়ে উঠবে আরও আকর্ষণীয়
ঠোঁটের সাজ যদি নিখুঁত না হয়, তাহলে পুরো সাজটাই মাটি! কারণ, মুখের এই অংশেই সবচেয়ে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হয়। আর তাতে কোনও গলদ থাকলে তা নজরেও পড়ে বেশি। তাই লিপস্টিক নিখুঁতভাবে দেওয়া জরুরি। হালকা শেড হোক বা উজ্জ্বল রং, লিপলাইন বরাবর সুন্দর করে লিপস্টিকের রেখা টানুন। আর যদি তা না পারেন, তাহলে বুদ্ধি করে কিছু ট্রিকস অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
নিখুঁত করার টিপস
১. ঠোঁট আঁকতে সবসময় সরু পেন্সিল ব্রাশের সাহায্য নিন।
২. লিপস্টিক বুলেটে ব্রাশ ঘষে বা লিকুইড লিপস্টিকে ডুবিয়ে তারপর ঠোঁটের কিনারা বরাবর সরু করে লাইন টানুন। এতে এবড়ো-খেবড়ো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে।
৩. একবার লিপ লাইন এঁকে নিলে তারপর ভরাট করা খুব সোজা।
৪. যদি লিপ লাইনার থাকে, তা দিয়েও ঠোঁট আঁকতে পারেন।
৫. পুরো ঠোঁট না এঁকে, কিউপিডস বো আর নিচের ঠোঁটের মাঝখানে লাইন টানুন। তারপর ঠোঁটের কোণ থেকে ওপরের ঠোঁট ও নীচের ঠোঁট সোজা লাইন টেনে জোড়া লাগিয়ে নিন।
৬. যদি লিপস্টিক দেওয়ার পর তা আকা-বাঁকা হয়ে যায়, তাহলে ফাউন্ডেশন বা কনসিলারও কাজে লাগাতে পারেন।
৭. সরু ব্রাশে খানিকটা ফাউন্ডেশন বা কনসিলার নিয়ে ঠোঁটের বাইরের চারপাশে লাইন বরাবর লাগান। তারপর বাইরের দিকে ব্লেন্ড করে নিন।
৮. একদম ঠোঁটের ধার ঘেঁষে লিপস্টিক লাগাবেন না।
৯. একটু ভেতরের দিক করে দিন। এতে নষ্ট করে ফেললে তা নিখুঁত করতে সুবিধে হবে। পরে ইচ্ছেমতো লাইন বাড়িয়ে নিতেও পারবেন।
১০. এই একই ট্রিকস কাজে লাগিয়ে রিমুভার দিয়ে অতিরিক্ত লিপস্টিকও মুছে নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে মুখের ওই অংশের বাকি মেক-আপও উঠে আসবে। তাই সতর্ক থাকুন।
১১. ওপরের ঠোঁটে লিপস্টিক পরে দু’টো ঠোঁট চেপে ধরুন। এতে উপরের ঠোঁটের ছাপ নিচের ঠোঁটে পড়বে।
১২. যেটুকু অংশ বাকি থাকবে, সেটুকু লিপস্টিক দিয়ে ভরে নিন।
এভাবে লিপস্টিক দিলে কখনই তা ঠোঁটের বাইরে বের হবে না। আর বেরলেও তা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন অতি সহজেই!
সূত্র: সানন্দা
মতামত দিন