টাকা পাঠানোর পর হয়তো বুঝতে পারবেন আপনি প্রতারণাকারীর ফাঁদে পা দিয়েছেন
বর্তমানে “হ্যাকিং” শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। সাইবার অপরাধী বা হ্যাকাররা আপনার ছোট বড় যে কোনও তথ্যকে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করে বসতে পারে।
আপনার কোনো বন্ধু বা নিকট আত্মীয়ের ইয়াহু, জিমেইল, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোটসঅ্যাপস, ভাইবার, ইমো বা অন্য যে কোনো অ্যাকাউন্টও হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হতে পারে। এতে যে শুধু তথ্যই চুরি যায় কেবল তা নয়, এমন ক্ষেত্রে হ্যাকার ব্যক্তিটি হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার বন্ধু বা আত্মীয় সেজে আপনাকে মেসেজ দিয়ে জানাবে যে সে কোনো মারাত্মক বিপদে/সমস্যায় আছে। তার জরুরি কিছু টাকা প্রয়োজন।
আপনার কাছে কিছু টাকা বিকাশ করে পাঠাতে অনুরোধও করবে। আপনিও সরলমনে তাকে নিজের পরিচিতজন ভেবে টাকা পাঠিয়ে দিবেন। ব্যাস এখানেই আপনি প্রতারণাকারীর ফাঁদে পা দিয়ে দিলেন।
পরে জানতে পারলেন, সে আসলে আপনার বন্ধু/আত্মীয় কিছুই না। আপনার বন্ধুর অ্যাকাউন্ট আসলে হ্যাক করা হয়েছে ও অন্য কেউ আপনার কাছে টাকা চেয়েছে।
এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পরামর্শ:
১। এ ধরনের মেসেজ আসলে আপনার যদি বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে প্রথমে আপনার ঐ বন্ধু বা আত্মীয়কে কল করুন।
২। সে কল রিসিভ না করলে বা তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে এমন কাউকে কল করুন যিনি হয়তো তার বর্তমান অবস্থান এবং পরস্থিতি সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দিতে পারবেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে আর্থিক লেনদেনে না জড়ানোই ভালো।
৩। প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করুন।
মতামত দিন