ঘরের জানলা-দরজা কিংবা রান্নাঘরের বাসনপত্র, কাচের তৈরি জিনিস আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই কম-বেশি মজুত!
ডাইনিং টেবিল, আয়না, বুক শেলফ, ঘরের জানলা কিংবা দরজা, এছাড়া রয়েছে রান্নাঘরে রাখা বাসনপত্র। কাচের তৈরি জিনিস আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই কম-বেশি মজুত! তবে মুশকিল হয় তখন, যখন কয়েক মাস বা কয়েক বছর ব্যবহারের পর ওগুলোয় নোংরা জমে, ধুলো পড়ে কিংবা দাগ-ছোপে মলিন দশা হয়ে যায়। কীভাবে যত্ন নেবেন কাচের জিনিসের? আসুন জেনে নেই।
কাচের বাসনপত্র
শখ করে কিনে আনলেও কাচের বাসন ব্যবহার করা এবং ওদের পরিষ্কার রাখা নেহাত সহজ কথা নয়! আজকাল বেশিরভাগ বাড়িতেই মাইক্রোওয়েভ অভেনে রান্না হয়। তা নাহলেও অন্তত খাবার গরম তো করাই হয়। ফলে তার জন্য মাইক্রোওয়েভ-সেফ কাচের বাসন ব্যবহার করতে হয়।
সেক্ষেত্রে মনে রাখুন, সাধারণ সাবান দিয়ে কিন্তু কাচের বাসন মাজবেন না। বাসন মাজার জন্য তরল সাবানও পাওয়া যায়। তা দিয়েই কাচের বাসন মাজুন। তাছাড়া, কাচের বাসন মাজার জন্য কখনও খসখসে, অমসৃণ স্ক্রাবার ব্যবহার করবেন না। স্পঞ্জ বা নাইলনের স্ক্রাবার ব্যবহার করুন। এতে বাসনে চিড় ধরবে না।
রান্নায় ব্যবহৃত বাসন
রান্নার পর কাচের বাসনে তেল লেগে থাকে অনেক সময়। তা দূর করার জন্য, ঈষদুষ্ণ গরম পানি সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে কাচের বাসনগুলি ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। পানি খুব গরম হলে কিন্তু কাচের বাসন ভেঙে যেতে পারে। এরপর তরল সাবান স্পঞ্জ বা নাইলনের স্ক্রাবারে লাগিয়ে বাসন মেজে নিন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পানি ঝরে যাওয়ার পর পরিষ্কার নরম তোয়ালে বা সুতির কাপড় দিয়ে বাসন মুছে রেখে দিন। এতে পানির দাগ বসে যাবে না।
কাচের পেয়ালা
বাড়িতে কোল্ড ড্রিংক বা অন্যকোনও পানীয়ের জন্য ব্যবহৃত কাচের গ্লাস থাকলে সেগুলি ভুলেও তরল সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। ঈষদুষ্ণ পানিতে পাতিলেবু ফালি করে কেটে রেখে দিন এবং তারপর সেই মিশ্রণে কাচের গ্লাস ডুবিয়ে নিন। তারপর সেগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে মুছে আবার জায়গামত তুলে রেখে দিন। ধোওয়ার পর মুছে রাখতে বলা এই জন্যই, যাতে কাচের পেয়ালার গায়ে পানির ছোপ-ছোপ দাগ না পড়ে।
কাচের আসবাবপত্র
কাচের আসবাব, যেমন ডাইনিং টেবল বা বুকশেলফ পরিষ্কার করার আগে পাতলা ও নরম, সুতির, পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে কাচের গায়ে জমে থাকা ধুলো ঝেড়ে নিন। এরপর কাচ পরিষ্কার করার কোনও তরল আসবাবে স্প্রে করে নিন এবং অন্য একটি পাতলা ও নরম সুতির কাপড় দিয়ে তা মুছে নিন। মোছার সময়ে খেয়াল রাখবেন যেন স্ট্রোক একই দিকে থাকে। অর্থাৎ ওপর-নিচ বা পাশাপাশি আগু-পিছু করে ঘষে মুছবেন না, এতে কাচে দাগ পড়তে পারে।
পরিশেষে, কাচের বাসন বা আসবাবপত্র যাই হোক না কেন, ব্যবহার করুন খুব সাবধানে। ধোওয়া বা মোছার সময়ও কাজটা ধীরেধীরে করুন। তাড়াহুড়োয় বাসন বা আসবাব ভেঙে গেলে ঝামেলা আরও বাড়বে বই কমবে না কিন্তু!
মতামত দিন