এবারে তবে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাতিল করে নতুন লুক দিন আপনার ঘর-বাড়িকে!
ঘরের আনাচে-কানাচে জড়ো হয়েছে হাজার পুরনো জিনিস, সেগুলোর সঠিক বন্দোবস্ত না করলে নতুন জিনিস কেনার কোনও মানেই হয় না। আপনি কিন্তু সহজেই অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বাতিল করে ঘরটিকে অনায়াসেই গুছিয়ে রাখতে পারেন। এবারে তবে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাতিল করে নতুন লুক দিন আপনার ঘর-বাড়িকে!
১. প্রথমেই একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন। তালিকাতে থাকবে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসের নাম। সেই অনুযায়ী আপনি জিনিসগুলোকে ভাগ করুন, দেখবেন অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আপনি অত্যন্ত সহজেই ভাগ করে ফেলেছেন।
২. ঘর বা বাড়িকে ঠিক কেমন দেখতে চান সেটা মনেমনে ভেবে নিতে পারেন। এতে আপনার পরিকল্পনার যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব।
৩. বাড়ির কোনও জায়গায় একটা বাক্স রাখুন। প্রতিদিন সেখানে একটা করে বাতিল জিনিস রেখে দিন। মাসের শেষে দেখবেন আপনার হাতের কাছেই বাতিল জিনিসগুলি জড়ো হয়েছে।
৪. কোনও কোনও জিনিস যেমন পুরনো জামা, বই, বইয়ের আলমারি হয়তো আপনার কোনও কাজে লাগছে না। সেক্ষেত্রে জিনিসগুলো আপনি অন্য কাউকে দিয়ে দিতে পারেন। এতে ঘরের জায়গা যেমন বাঁচবে, তেমনি নতুন জিনিস কেনার জায়গাও পেয়ে যাবেন।
৫. রান্নাঘরে অনেক সময় দেখবেন আপনার শখের চায়ের কাপ বা চিনামাটির টি-পটটি বিনা ব্যবহারে পড়ে রয়েছে। জিনিসগুলো একেবারে ফেলে দিতে ইচ্ছা নাহলে, রি-সাইকল করে অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারেন। আপনার শখের চায়ের কাপটিকে নানা রঙে রঙিন করে বানিয়ে ফেলুন পেনদানি আর টি-পটটিকে চারাগাছের টব হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন!
৬. ইলেকট্রনিক গ্যাজেট (মোবাইল, ইয়ারফোন, আই-পড, ক্যালকুলেটর) যেগুলো বাড়িতে অযথা পড়ে রয়েছে, সেগুলো এক্সচেঞ্জ করে নতুন আপ-গ্রেডেড গ্যাজেট নিয়ে আসতে পারেন।
৭. বাড়িতে বাচ্চাদের খেলনা, পুতুল, টেডি বিয়ার যেগুলো তারা নিয়ে আর খেলে না, সেগুলো অন্য কোনও বাচ্চাকে দিয়ে দিতেই পারেন।
৮. বাড়ন্ত বাচ্চাদের জামাগুলো ফেলে না দিয়ে কোনও এতিমখানায় দিয়ে আসতে পারেন। এতে যেমন ওয়ার্ডরোবে নতুন জামা রাখার জায়গা তৈরি হবে, তেমনই জিনিসগুলো অন্য কারও কাজে লাগতে পারবে।
৯. ঘরের আসবাবপত্র তৈরির ক্ষেত্রেও আপনি এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। যেমন আপনার ওয়ার্ডরোবেই যদি আয়না ও কসমেটিক্স রাখার শেলফ বানিয়ে নেন, তাহলে ড্রেসিংটেবিল রাখার প্রয়োজনীয়তা সেভাবে পড়বে না।
১০. রান্নাঘরে মাল্টিপারপাস কাবার্ড ব্যবহার করুন, তাতে রান্নাঘরে অতিরিক্ত আসবাবপত্র রাখার প্রয়োজনীয়তা পড়বে না।
এই কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললে অনায়াসেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার বাড়ির নতুন লুক!
মতামত দিন