বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের তিন ভাগের এক ভাগ সময় ঘুমের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত হলেও অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না
ঘুম ভালো না হলে সারাদিন অস্বস্তিতে ভুগতে হয়। ঘুম কম হওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ মানসিক অশান্তি। আবার প্রাত্যহিক অনেক অভ্যাসও আমাদের ঘুম না আসার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নির্ঘুম রাত কাটানোয় নানারকম মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের তিন ভাগের এক ভাগ সময় ঘুমের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত। কিন্তু যে কোনও বয়সের মানুষই ঘুমের সমস্যার শিকার হতে পারেন, অনেকে হয়তো বিষয়টি অনুমানও করতে পারে না। সবারই ঘুমের একটি নির্দিষ্ট রুটিন করে চলা উচিত। ঘড়ি ধরে ঘুমাতে গেলে অতিরিক্ত চিন্তা, খিটখিটে মেজাজ ও গ্যাস্ট্রিকের মতো নানারকম সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে যেকোনও বয়সীরাই কিছু বদভ্যাসের কারণে অনিদ্রার মত সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে। ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের ওপর অতি নির্ভরশীলতা, তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, অ্যালকোহল সেবন, দুশ্চিন্তা করা ইত্যাদিও অনিদ্রার পেছনে অন্যতম কারণ।
এজন্য বেশকয়েকটি নিয়ম মেনে চলা উচিত, যেমন, ঘুমানোর আগে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। চোখ বন্ধ করে চোখকে বিশ্রাম দিতে হবে। মোবাইল স্ক্রিনের এলইডি লাইট চোখের ওপর প্রভাব ফেলে। এছাড়া ডিজিটাল স্ক্রিন মস্তিষ্ক থেকে মেলাটোনিন নিঃসরণ কমিয়ে দেয় ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
ডিনার সাধারণত আগেভাগে করে ফেলা উচিত এবং ডিনারের পরে চা কফি না খাওয়াই ভালো। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন ঘুম নষ্ট করে দেয়। অ্যাড্রিনালির নিঃসরণ বাড়িয়ে আপনাকে আরও সজাগ করে তোলে। মাথায় তৈরি হওয়া কেমিকেল অ্যাডিনোসিন যা ঘুমোতে সাহায্য করে, চা বা কফি সেটার নিঃসরণ আটকে দেয়। যেকোনও ধরনের তৈলাক্ত খাবার জাঙ্ক ফুড এগুলো বাদ দিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
ধূমপানের বদ অভ্যাস শুধুমাত্র আপনার ফুসফুস কিংবা শ্বাসনালীরই ক্ষতি করছে না পাশাপাশি ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। তামাকজাত দ্রব্যে নিকোটিন থাকে যা আপনার মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখতে সহায়তা করে এবং ঘুমের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আবার গভীর রাতে ডিনার কিংবা অশরীরী কোনও সিনেমা দেখলে চোখের উপর প্রভাব ফেলে এবং ঘুম সহজে আসে না। এ ধরনের কিছু বদভ্যাসগুলোকে পরিবর্তন করতে পারলে নিদ্রাহীনতার সমস্যা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব।
মতামত দিন