কর্মক্ষেত্রে যেতে না পারার অজুহাত হিসেবে ঠাণ্ডা লাগা, পিঠে ব্যথা, মানসিক অবস্থাকেই বেশির ভাগ সময় বেছে নেন তারা
প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটি পেতে কার না ভাল লাগে না? কাজের চাপে হঠাৎ করে একটু ছুটি এনে দিতে পারে শান্তির পরশ। তবে দৈনন্দিন জীবনে একটু শান্তির ছোঁয়া পেতে ভুয়া অসুস্থতার কথা বলে অনেকেই নেন ছলনার আশ্রয়। এই উপমহাদেশে এর প্রবণতা বেশি দেখা গেলেও এধরনের ছলনার আশ্রয় কিন্তু ব্রিটিশরাও নেন।
১৬ বছরের ঊর্ধ্বে ৩৬৫৫ ব্যক্তির ওপর পরিচালিত ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক জরিপে দেখা গেছে, কর্মক্ষেত্রে ছুটি নেবার প্রয়োজন হলে ব্রিটেনে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দুইজন ভুয়া অসুস্থতার রিপোর্ট করে। শুধু তাই নয়, অন্যের কাজ নিজের অর্জন দেখাতে চেষ্টা করে তারা।
জরিপটিতে দেখা গেছে, জাতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছর কর্মীরা গড়ে চারদিন অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নেন। কর্মক্ষেত্রে যেতে না পারার অজুহাত হিসেবে ঠাণ্ডা লাগা, পিঠে ব্যথা, মানসিক অবস্থাকেই বেশির ভাগ সময় বেছে নেন তারা। যারা অসুস্থতার ভান করে তারা অন্য সহকর্মীদেরও ভুয়া অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিতে সমর্থন দেয় বলেও উঠে এসেছে জরিপটিতে।
জরিপে দেখা গেছে, অসুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি অফিসে না আসে, সেটির জানার পরেও ৬৬ শতাংশ কর্মী বিষয়টি নিয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কিছু বলেন না।
কর্মক্ষেত্র বিষয়ক মনোবিদ হেলি লুইস বলেন, “কেউ যদি ছুটি নেবার প্রয়োজন মনে করে তাহলে বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কর্মীদের সম্পর্ক যদি খারাপ হয়,তাহলে কর্মীরা সত্য কথা বলতে চান না।” কর্মীরা যত তরুণ হয়, তারা তত বেশি নারী সহকর্মীদের সমর্থনে কথা বলে বলেও জানান তিনি।
মতামত দিন