‘আমি কখনোই নিজেকে কেবলই একজন নারী হিসেবে পরিচয় দেই না। আমি মনে করি, আমি একজন পাইলট, একজন শান্তিরক্ষী। কারণ নারী নাকি পুরুষ, কে চালাচ্ছে মেশিনের তা বোঝার ক্ষমতা নেই।’
মধ্য আফ্রিকার অস্থিতিশীল রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো। সেখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাহসী দুই নারী কর্মকর্তা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুৎফি ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাঈমা হক। সেখানকার দুর্গম পরিবেশ আর বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে দৃঢ়চিত্তে পাল্লা দিচ্ছেন নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে।
বাংলাদেশের এই দুই সাহসী নারী এখন কঙ্গোর নারীদের রোল মডেল হয়ে উঠছেন। ভিনদেশে গিয়ে তারা হয়ে উঠেছেন স্থানীয়দের আস্থার প্রতীক। সেখানকার মানুষদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা এবং আহতদের সহায়তায় নিয়মিত এগিয়ে আসেন তারা।
এই দুঃসাহসিক অভিযাত্রার ক্ষেত্রে তাদের কাছে লিঙ্গভিত্তিক পরিচয়ের চেয়েও বৈমানিক পরিচয়টাই বড়। শক্ত হাতেই তারা সামলাচ্ছেন দায়িত্ব।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্নার ভাষায়, “আমি কখনোই নিজেকে কেবলই একজন নারী হিসেবে পরিচয় দেই না। আমি মনে করি, আমি একজন পাইলট, একজন শান্তিরক্ষী। কারণ নারী নাকি পুরুষ, কে চালাচ্ছে মেশিনের তা বোঝার ক্ষমতা নেই।”
সম্প্রতি জাতিসংঘ প্রকাশিত এক বিশেষ ভিডিওতে কঙ্গোতে কাজের অভিজ্ঞতাসহ পেশাদারিত্বের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তামান্না-ই-লুৎফি ও নাঈমা হক।
সেখানে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না হক বলেন, “স্থানীয় নারীদের কাছে আমরা এক বিশাল অনু্প্রেরণা। স্থানীয় নারীরা আমাদের দেখে পড়াশোনা করতে উদ্বুদ্ধ হয়।”
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিতে ‘বেল ২০৬’ বিমান অবতরণের মাধ্যমে দেশের প্রথম কম্ব্যাট পাইলট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নাঈমা এবং তামান্না।
ভিডিও-
মতামত দিন