আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন শাহরুখের নিযুক্ত আইনজীবী। সেই অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানি হবে শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায়
জামিন হয়নি শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের। ক্রুজশিপ থেকে গ্রেপ্তার আরিয়ানসহ বাকি আসামিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরপরই আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন শাহরুখের নিযুক্ত আইনজীবী।
সেই অন্তর্বর্তী জামিনের শুনানি হবে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আরিয়ানের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। কিন্তু আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন। জামিন শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ। এর আগে আরিয়ানকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন- আরিয়ান: অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে বাবার সঙ্গে কথা বলতে হয়
চারদিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কক্ষে কাটিয়েছেন আরিয়ান।
এনসিবি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, জেরার সময় সহযোগিতা করেছেন শাহরুখপুত্র। কিন্তু আপাতত বহাল থাকবে তার বন্দিদশা।
তবে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আরিয়ান এবং তার সঙ্গীদের হেফাজতের রাখা প্রয়োজনীয় বলে যুক্তি দিয়েছিল এনসিবি।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা: আরিয়ানের গ্রেপ্তার একটি কূটচাল
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মাদক পার্টিতে উপস্থিত থাকা অচিত কুমারকে আটক করেছে এনসিবি। ৯ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের হেফাজতে থাকবেন অচিত।
আরিয়ান খানের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে দাবি করেছেন, প্রমোদতরীতে আরিয়ান কোনো মাদক বিক্রি করতে যাননি। তাকে ওই প্রমোদতরীতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অতিথি হিসেবে।
তিনি জানিয়েছেন, আরবাজ এবং অচিতের কাছ থেকে খুব অল্প পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয়েছে। তাদের সঙ্গে আরিয়ানের পরিচয় আছে। কিন্তু সেই পার্টিতে আরিয়ান কারও থেকে মাদক সংগ্রহ করেননি।
আরও পড়ুন- অনির্দিষ্টকালের জন্য শুটিং স্থগিত করছেন শাহরুখ খান?
শাহরুখপুত্রের আইনজীবীর মতে, চারদিন আরিয়ানকে হেফাজতে রাখার পরেও আসল অপরাধীকে এখন পর্যন্ত খুঁজে বের করতে পারেনি এনসিবি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মুম্বাই থেকে গোয়ামুখী একটি প্রমোদতরীর পার্টি থেকে আটক করা হয় আরিয়ানসহ আরও কয়েকজনকে। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় শাহরুখপুত্রকে। আরিয়ানের দুই সঙ্গী মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ শেঠ মার্চেন্টকেও গ্রেপ্তার করে এনসিবি। বিলাসবহুল কর্ডেলিয়া ক্রুজে তল্লাশি চালিয়ে কোকেন, এমডিএমএ, এক্সটেসি সহ আরও নানা ধরনের নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করা হয়।
আরিয়ান জানিয়েছেন, অতীতে কখনও তিনি মাদক নেননি। অনুশোচনা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও এমন কোনো কাজ তিনি করবেন না।
যদিও অধিকতর তদন্তের বরাত দিয়ে এনসিবি দাবি করেছে, বিগত চার বছর ধরে মাদক নিতেন আরিয়ান।
মতামত দিন