কলকাতায় বড় হলেও শ্রীলেখা মিত্রের শিকড় বাংলাদেশেই
সম্প্রতি বাবাকে হারিয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। বাবার মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাবার বিভিন্ন স্মৃতি তুলে আনছেন এই টলিউড অভিনেত্রী। তারই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি স্মৃতিচারণ করলেন বাবার সঙ্গে বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা। শুধু তাই না, বাংলাদেশের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি রুনা লায়লা-আলমগীরের আতিথ্য গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
কলকাতায় বড় হলেও শ্রীলেখা মিত্রের শিকড় বাংলাদেশেই। দেশ বিভক্তির পর ওপার বাংলায় চলে গেলেও শৈশব থেকে বাবার মুখে সবসময়েই এপার বাংলার কথা শুনে এসেছেন তিনি। তাই বাবার সঙ্গে ২০১৭ সালের মার্চে এসেছিলেন বাংলাদেশে।
বাবার সঙ্গে সেই বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শ্রীলেখা মিত্র লিখেন, "বাবার মুখে বাংলাদেশের মাদারিপুরের ঘটমাঝি গ্রামের জমিদারবাড়ির গল্প শুনে বেড়ে ওঠা। মিত্তিরদের পূজা, মিত্তিরদের ঘাট, মিত্তিরদের বাজার, পোস্ট অফিস, শ্মশান… অগণিত মানুষের মতো দেশভাগের শিকার আমারাও…"
কথাগুলো ছোটপর্দার এক রিয়েলিটি শোয়ে বলেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। এ কথা কানে যাওয়া মাত্রই বাংলাদশের কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর ফোনে শ্রীলেখার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। আমন্ত্রণ পেয়েই শিকড়ের টানে এবং নিজেদের পৈত্রিক ভিতেমাটির খোঁজে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে উদ্দেশ্যে উড়াল দেন শ্রীলেখা।
বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের স্বনামধন্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা ও আলমগীরের বাড়িতে এসে অভাবনীয় অতিথিপরায়ণতায় অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলেন শ্রীলেখা। নিজের ফেসবুক পোস্টে তাদের প্রশংসা করেন শ্রীলেখা।
পরে আলমগীরের সহায়তায় বাংলাদেশে নিজেদের পৈত্রিক ভিটাও খুঁজে বের করেছিলেন তিনি। সেখানে বাবাকে নিয়ে গিয়ে করেছিলেন নিজের স্বপ্নপূরণও। শ্রীলেখার ভাষ্যমতে, "আমার ইচ্ছে ছিল বাবাকে তার ভিটেতে একবার অন্তত নিয়ে যাওয়ার। আমি পেরেছি, আলমগীর ভাইয়ের সহায়তা এক্ষেত্রে অনস্বীকার্য।"
মতামত দিন