স্যান্ডির ধারণা, কয়েক বছর আগে শ্রাবন্তীকে নিয়ে বানানো ভিডিও নিয়ে ক্ষোভ থেকে এমনটা করেছেন অভিমন্যু
জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় সমকামিতাকে শ্রদ্ধা করার পাশাপাশি সমর্থন দিলেও শ্রাবন্তীর ছেলে অভিমন্যু চট্টোপাধ্যায় একদমই হোমোফবিক। সম্প্রতি অভিমন্যুর প্রতি তার যৌন পরিচয় নিয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজের অভিযোগ এনে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতার ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে ভিডিও কলে স্যান্ডি তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময়ে স্যান্ডির বন্ধুর বাড়িতে অভিমন্যুও উপস্থিত ছিলেন। স্যান্ডি তার বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তোর পাশে কে আছে, তাকে দে, তার সঙ্গেও কথা বলি।” পরবর্তীতে অভিমন্যুর দিকে ক্যামেরা ঘোরানো মাত্রই তিনি স্যান্ডিকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। স্যান্ডির যৌন পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার মতো মানুষের সঙ্গে কোনো কথা বলতেও নিজের অনাগ্রহের কথা জানান অভিমন্যু।
এ প্রসঙ্গে স্যান্ডি বলেন, “শ্রাবন্তীদিকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি। তিনি সমকামিতাকে সবসময় সম্মান দিয়েছেন, সমর্থন করেছেন। কিন্তু তার ছেলের মুখ থেকে এমন শব্দ শুনব, ভাবতেও পারিনি!”
স্যান্ডি জানান, পুরো ঘটনাটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রাবন্তীকে জানালেও প্রত্যুত্তরে টলিউড অভিনেত্রীর পক্ষ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
ঠিক কি কারণে অভিমন্যুর এমন ব্যবহার তা সঠিকবভাবে না জানা গেলেও স্যান্ডির ধারণা, কয়েক বছর আগে শ্রাবন্তীকে নিয়ে বানানো ভিডিও নিয়ে ক্ষোভ থেকে এমনটা করেছেন অভিমন্যু।
তিনি বলেন, “খুবই মজা করে কিছু কথা বলেছিলাম অভিমন্যুর মায়ের সম্পর্কে। কিন্তু সেই ভিডিও নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত কথাও হয়েছিল শ্রাবন্তীদির সঙ্গে। এরপরও যদি অভিমন্যুর রাগ থাকেও, তাহলে কি কারোর যৌন পরিচয় নিয়ে এমন শব্দ ব্যবহার করা যায়! অভিমন্যুকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি। কিন্তু এটা জানতাম না যে, ও এতটা হোমোফোবিক। এই এক দিনের বাক্যালাপে সেটা স্পষ্ট।”
উল্লেখ্য, শ্রাবন্তীর প্রথম সংসারের পুত্র অভিমন্যু। ২০০৩ সালে নির্মাতা রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর অভিমন্যুর জন্ম হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে রাজীবের সঙ্গে শ্রাবন্তীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
মতামত দিন