জরিমানার নির্দেশ পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে যৌথভাবে এবং সমভাবে সেই জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে
পর্ণোগ্রাফির অভিযোগে জেরবার হওয়ার পর নতুন করে আরও বিপদ বাড়লো বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও তার ব্যবসায়ী স্বামী রাজ কুন্দ্রার। নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে তাদের দুজনকে এবং তাদের মালিকানাধীন ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করলো সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (এসইবিই)।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ভারতীয় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখার পর এ জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। নির্দেশ পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে যৌথভাবে এবং সমভাবে সেই জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এসইবিই সূত্রে জানা যায়, বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার নথিভুক্ত ছিলো। ওই সংস্থার মালিক হলেন শিল্পা এবং রাজ। ওই সংস্থা কর্তৃক এসইবিই এর "প্রভিশনস ইনসাইডার ট্রেডিং রেগুলেশন" লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা, তা নিয়ে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত হয়েছিল। ২০১৫ সালের অক্টোবরে ৪ জনকে ৫ লাখ টাকার শেয়ার বিলি করেছিল ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ। তাদের প্রত্যেকেই ১,২৮,৮০০ লাখ টাকার শেয়ার পেয়েছিলেন। অঙ্কের নিরিখে যে লেনদেন হয়েছিল, তা ১০ লাখ টাকার সীমারেখা পার হয়ে যাওয়ার কারণে "প্রভিশনস ইনসাইডার ট্রেডিং রেগুলেশন" অনুযায়ী সংস্থাকে নির্দিষ্ট সময় তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানাতে হতো।
সেই নিয়ম লঙ্ঘনের পরেই এর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচার প্রক্রিয়ার সময় এসইবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেই শেয়ার বিক্রির বিষয়ে জানানো হয়েছে ৩ বছরেরও বেশি সময় পর। নিজেদের স্বপক্ষে ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে, তা গ্রাহ্য করা হয়নি। বরং বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা, তার স্বামী রাজ এবং ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের পূর্ব নাম ছিলো হিন্দুস্তান সেফটি গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এসইবিই আরও বলেছে, কুন্দ্রা এবং শেঠির শেয়ারের প্রতিটির লেনদেনের মূল্য ছিল ২ কোটি ৫৭ লাখ রুপি। ২০১৫ সালের লেনদেনের চূড়ান্ত প্রকাশ করা হয় ২০১৯ সালের মে মাসে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই পর্ণোগ্রাফির অভিযোগে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। রাজের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করলেও বুধবার (২৮ জুলাই) সেই আবেদন খারিজ করে দেয় মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। প্রাথমিকভাবে শিল্পা শেঠি এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত না হলেও তাকে এখনো ক্লিন চিট দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তাদের মতে, এই মামলায় জড়িত সবার সবগুলো অ্যাকাউন্টের লেনদেন তদন্তের জন্য ফরেনসিক অডিটর নিয়োগ করা হয়েছে।
মতামত দিন