ভিড়ের মধ্যে হঠাৎই নিজের শরীরে অবাঞ্ছিত হাতের স্পর্শ অনুভব করেন সুস্মিতা। দ্রুত গতিতে পিছন ফিরে ভিড়ের মধ্যে থেকে সেই হাত ধরে টেনে বের করে আনেন দোষীকে
বলিউডের সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী নায়িকা হিসেবে পরিচিত সুস্মিতা সেন। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে সবসময়ই সরব থাকেন সাবেক এই মিস ইউনিভার্স। বিভিন্ন ইস্যুতে খোলামেলা বক্তব্য দেন তিনি।
২০১৮ সালে যখন “মি টু” মুভমেন্ট নিয়ে তোলপাড় বলিউড, তখন যৌন হেনস্তার নানা ঘটনা নিয়ে একের পর এক মুখ খুলছেন প্রথম সারির নায়িকারা। বাদ যাচ্ছেন না নায়করাও! সেই সময় চুপ করে থাকেননি সুস্মিতা সেনও।
মুম্বাইয়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন সুস্মিতা। কথা প্রসঙ্গে নিজের সঙ্গে হয়ে যাওয়া একটি যৌন হেনস্তার কথাও বলেন তিনি। তিনি যে ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছিলেন, তার সঙ্গে বিনোদন জগতের কেউ যুক্ত ছিলেন না। সম্প্রতি অতীতের সেই অভিজ্ঞতা আবার নতুন করে স্মরণ করলেন এই অভিনেত্রী।
সুস্মিতার বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছিল মুম্বাইয়ের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময়। ভিড়ের মধ্যে হঠাৎই নিজের শরীরে অবাঞ্ছিত হাতের স্পর্শ অনুভব করেন সুস্মিতা। দ্রুত গতিতে পিছন ফিরে ভিড়ের মধ্যে থেকে সেই হাত ধরে টেনে বের করে আনেন দোষীকে। তারপরেই চমকে যান সুস্মিতা! দেখেন সেই দোষী মাত্র ১৫ বছরের একটি ছেলে!
নায়িকার কথায়, তখন তিনি চাইলেই চিৎকার করতে পারতেন। কিন্তু করেননি, কারণ এতে ছেলেটির পুরো জীবন নষ্ট হয়ে যেত। সবার সামনে কিছু না বলে ছেলেটিকে এক কোণায় নিয়ে যান তিনি। ছেলেটিকে তিনি একটা সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন নিজের দোষ স্বীকারের।
ছেলেটিকে ক্ষমা চাইতে বলেন সুস্মিতা। প্রথম দিকে অস্বীকার করলেও, পরে অবস্থা বেগতিক বুঝে অপরাধ কবুল করে নিতে বাধ্য হয় সে।
সুস্মিতা মনে করেন, সেই ছেলেটির মতো অনেক ছেলেকেই তাদের পরিবার শেখায় না কিভাবে মেয়েদের সম্মান করতে হয়। ছেলেরা মনে করে, তারা যখন তখন নারীদের হেনস্তা করতে পারবে, আর নারীরা কখনও এর প্রতিবাদ করবে না। এর ফলে তারা আরও সাহস পায়। কিন্তু প্রত্যেক নারীর উচিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা, ফলে হেনস্তাকারী বুঝবে যে অন্যায় করে সে কখনও পার পাবে না।
মতামত দিন