'মন খারাপ হলে আমি কারও না কারও সাহায্যে এগিয়ে যাই। আমাকে দিয়ে যদি কারও উপকার হয়, তাতে আমি শান্তি পাই'
সম্প্রতি অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে অনেকেই হয়তো তার ১০০টি বাঁধাকপি কেনার কথা জেনেছেন!
মন খারাপ কাটাতেই নাকি সেদিন রাজশাহী শহর থেকে গ্রামের দিকে নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তিনি। পরিকল্পনা ছিল দুচোখ ভরে প্রকৃতি দেখবেন। পথেই দেখা হয় এক কৃষকের সঙ্গে, যিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে বাঁধাকপি নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। বয়স্ক মানুষটাকে দেখে তার মন আরও খারাপ হয়। রিকশাভ্যান থেকে সব কটি বাঁধাকপি কিনে ওই বয়স্ক কৃষকের মন ভালো করে দেন মাহি। অন্যের মুখে হাসি ফুটলে তাঁর নিজেরও মন ভালো হয়ে যায়। ১০০ বাঁধাকপির কিছু রান্না করেছেন, কিছু বাড়ির চারপাশের সবাইকে বিলিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ রকম ঘটনা কিন্তু এবারই প্রথম নয়। মন খারাপ হলে এমন কাজ আগেও করেছেন তিনি। কিনে নিয়েছেন ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে সব পণ্য। সেসবের মধ্যে ছিল চুড়ি, গলার মালা, ঝুড়িসহ আরও অনেক কিছু।
তিনি বলেন, "মন খারাপ হলে আমি কারও না কারও সাহায্যে এগিয়ে যাই। আমাকে দিয়ে যদি কারও উপকার হয়, তাতে আমি শান্তি পাই।"
তিনি জানান, একবার মন খারাপ নিয়ে গুলশানে ঘুরছিলেন তিনি। এক সিগন্যালে দেখতে পান, একজন অনেকগুলো ঝুড়ি নিয়ে বসে আছেন। ওই ঝুড়িওয়ালার কাছ থেকে সবকটি ঝুড়ি কিনে নেন তিনি। অতগুলো ঝুড়ি দেখে তাজ্জব হয়ে যান মাহির মা।
রিকশাভ্যান থেকে সব কটি বাঁধাকপি কিনে বয়স্ক কৃষকের মন ভালো করে দেন মাহি
একবার পথশিশুদের ১০০ হাওয়াই মিঠাই কিনে দিয়েছিলেন। সেদিনের শিশুগুলোর আনন্দের ছবি আজও তার চোখে ভাসে। আরেকবার কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে এক সারা দিন কানের দুল ও গলার মালা বিক্রি হয়নি বলে মন খারাপ করে ছিল সে। মাহি তার কাছ থেকে সবকিছু কিনে তাকেই উপহার দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি মাহি "লাইভ" ছবির শুটিং শেষ করেছেন। এ ছবিতে তার সঙ্গে দেখা যাবে অভিনেতা সাইমনকে। এ ছাড়া "যাও পাখি বলো তারে" নামে আরও একটি ছবিতে কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। "গ্যাংস্টার" ছবির শুটিংয়ের জন্য শিগগিরই কক্সবাজার যাওয়ারও কথা রয়েছে তার।
মতামত দিন