বেলা ৩টার দিকে সেখানে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে
নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে এবং সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ পাঠক) নূরুল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বুধবার সকাল থেকে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বেলা ৩টার দিকে সেখানে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার অতিক্রম করে ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার ডিমলা উপজেলার নদী বেষ্টিত পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপনী, পশ্চিমছাতনাই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। ইতোমধ্যে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, “তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় আমার ইউনিয়নের আটটি গ্রাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব গ্রামের পরিবারগুলো সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।”
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, “টানা তিনদিনের বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬টায় নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতে আরও কিছুটা পানি বাড়তে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে।”
মতামত দিন