সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ফরাসি চলচ্চিত্র থেকে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য সংশোধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ফরাসি চলচ্চিত্র থেকে “মেইড ইন বাংলাদেশ” বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য সংশোধনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন এবং ঢাকায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন-মারিন এসসিইউএইচকে চিঠি লিখে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “সত্যিকার অর্থেই আমরা বিশ্ব দরবারে আমাদের পোশাক শিল্পকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছি। তাই পোশাক শিল্পকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য আমাদেরকে ব্যথিত করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই এবং আপনার মাধ্যমে ফরাসি সরকার ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ সংলাপটি অনতিবিলম্বে অপসারণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাই।”
ডেভিড শ্যারন পরিচালিত “লাস্ট মার্সেনারি” নামে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ফরাসি চলচ্চিত্রে “মেড ইন বাংলাদেশ” সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের বিষয়ে বিজিএমইএ আগস্টে রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছিল।
আরও পড়ুন- নেটফ্লিক্সের ছবিতে বাংলাদেশকে নিয়ে ‘অসম্মানজনক’ সংলাপ
বিজিএমইএ প্রধান বলেন, “মেইড ইন বাংলাদেশ শুধুমাত্র যে আমাদের জাতির জন্য গর্বের বিষয়, তা নয়, তার চেয়েও এর ব্যাপ্তি আরও ব্যাপক। এর মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে আমাদের গৌরবময় আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। মেইড ইন বাংলাদেশ এর মূল লক্ষ্যই হলো দেশের ব্র্যান্ডিং। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে লাখো লাখো প্রাণের বিনিময়ে। এই স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছরের ধারাবাহিকতায় পোশাক শিল্প আজ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গত তিন দশক ধরে অর্থনীতির অন্যান্য খাতগুলোতেও এই শিল্পের সরব পদচারণা প্রশংসিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এর আগে আমরা নেটফ্লিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চলচ্চিত্রের পরিচালককে আমাদের এই উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাইনি। চলচ্চিত্রটি এখনও নেটফ্লিক্সের প্লে-লিস্টে আছে এবং চলচ্চিত্র থেকে সেই আপত্তির সংলাপগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়নি।”
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে পৃথক চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, “মেইড ইন বাংলাদেশ নিয়ে যে মন্তব্য আছে, তা সম্পূর্ণরূপে ভুল। কারণ, বাংলাদেশ বুলেট প্রুফ জ্যাকেট তৈরি করে না। এবং গত চার দশক ধরে আমরা যে পোশাক তৈরি করছি, তা বিশ্বব্যাপী ক্রেতা ও ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেছে তার গুনগত মান ও প্রতিযোগিতামূলক মূল্য দিয়ে। অতএব, এটি একটি যুক্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি।”
বিজিএমইএ, পোশাক শিল্প পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ফরাসি কর্তৃপক্ষকে চলচ্চিত্রটি থেকে প্রশ্নবিদ্ধ সংলাপটি সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায়।
মতামত দিন