২০১৮ সালে মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছিল ৪,০১,৪৫২ ইউনিট, যা গত বছরে নেমে আসে ৩,১১,০১৬ ইউনিটে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরোপিত কয়েক মাসের লকডাউন তুলে নেওয়ার পর ধীরে ধীরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। সেই ছাপ পড়েছে মোটরসাইকেলের বিক্রির ওপরেও। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সংখ্যা প্রায় ১০% কমলেও এ বছর ধীরে ধীরে মোটরসাইকেলের বিক্রি ও নিবন্ধন বেড়েছে। এ বছরের মে পর্যন্ত মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে ১,৩৩,০৪৪ ইউনিট।
ধারণা করা হচ্ছে, টিকাদান কার্যক্রম জোরদার হওয়ার পর থেকে মানুষ যথাসম্ভব গণপরিবহন এড়ানোর লক্ষ্যেই ব্যক্তিগত যানবাহনের দিকে ঝুঁকেছে। ফলে বিক্রি বেড়েছে মোটরসাইকেল।
২০১৮ সালে মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছিল ৪,০১,৪৫২ ইউনিট, যা গত বছরে নেমে আসে ৩,১১,০১৬ ইউনিটে।
এই বছরের শুরু থেকে নিবন্ধন শুল্ক ৫০% হ্রাস করে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি মোটরসাইকেলের ক্রয়ে গ্রাহকদের বাড়তি উৎসাহ দিয়েছে।
বর্তমানে, ১০০ সিসি ধারণক্ষমতার ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন খরচ ২ হাজার টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৪,২০০ টাকা। ১০০ সিসি এর বেশি ক্ষমতার ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলের জন্য রেজিস্ট্রেশন খরচ ৩ হাজার টাকা, যা আগে ছিল ৫,৬০০ টাকা।
শুধু বাংলাদেশেই না, অন্যান্য দেশের মোটরসাইকেলের বাজারেও করোনাভাইরাস মহামারির বাজে প্রভাব পড়েছে। যার প্রমাণ ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মোটরসাইকেল বিক্রি ১৪% কমে গিয়েছিল।
মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাফিজুর রহমান খানের মতে, প্রায় সব ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের বিক্রি বাড়ছে। এছাড়া, শিগগিরই ব্যবসায়ীদের গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে কারিগরদের আশাবাদের কথাও জানান তিনি।
মতামত দিন