এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পদ্মা সেতু প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানো হল
পরিকল্পনা কমিশন সেতু বিভাগের পাঠানো একটি প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করে বহুল আলোচিত পদ্মা মাল্টিপারপাস সেতু প্রকল্পের (পিএমবিপি) সময়সীমা ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সেতু বিভাগ গত ২ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কাছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিল।
পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো আবেদনে করোনাভাইরাস মহামারিতে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হওয়াকে সময় বাড়ানোর কারণ হিসেবে দেখিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
এছাড়া সেতু বিভাগ ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করলেও ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য সেতু খোলার পরিকল্পনা করছে।
সেতু বিভাগের সম্পাদক মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “আমরা নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য এক বছর (জুন ২০২২ পর্যন্ত) এবং ত্রুটির দায়বদ্ধতার সময়কাল হিসেবে আরও এক বছর (জুন ২০২৩ পর্যন্ত) চেয়েছি। যেহেতু প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে, তাই সেতুটি একই সময়ে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি যতদূর জানি, পরিকল্পনা কমিশন খরচ না বাড়িয়ে সময়সীমা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”
আইএমইডি-র সম্পাদক প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি যে গত এক বছর ধরে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের সুপারিশ হবে সময়সীমা বাড়ানো।”
২ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল (এনইসি) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (আরএডিপি) চূড়ান্ত করে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য প্রায় ২০৯৯.৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।
পঞ্চমবারের মত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে যানবাহনের জন্য সেতু খোলার লক্ষ্যমাত্রা পুনরায় নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু গত বছরের মার্চ মাসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এই পরিকল্পনাটি ব্যাহত হয়।
এর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ হতে তিনবার ব্যর্থ হয়েছে- ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০১৯ সাল। প্রকল্পটি ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২০১৪ সালে দেশের নিজস্ব তহবিল থেকে পদ্মা নদীর উপর দেশের ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘতম সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
মতামত দিন