সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে গতবছরের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের এই তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
বর্তমানে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮২ জন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গতবছরের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের এই তথ্য তুলে ধরেন।
গত নভেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করেছিল। তাতে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা কমে ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিশেষ সুবিধা ও ছাড়ের কারণে গতবছর এপ্রিলের পর নতুন করে কোনো ঋণ খেলাপ হয়নি। কিছু উদ্যোক্তা নিজ উদ্যোগে কিছু ঋণ শোধ করেছে। তার ফলেই খানিকটা কমেছে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ।
অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই হিসাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ। তাদের ভাষ্য, সরকারের দেওয়া বিশেষ সুবিধার আওতায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ ব্যাংকগুলো নবায়ন করেছে। এর বাইরেও বিপুল পরিমাণ ঋণ পুনঃতফসিল বা অবলোপন করেছে ব্যাংকগুলো। তাতেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম দেখাচ্ছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী খেলাপি ঋণ সম্পর্কিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি ও ঋণ আদায়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা সংসদে তুলে ধরেন।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অর্জন ৩২.৮৭%।
আর এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে অবমূল্যায়ন (আন্ডার ইনভয়েসিং) বা অতিমূল্যায়নের (ওভার ইনভয়েসিং) মাধ্যমে অর্থপাচারের কিছু অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা খতিয়ে দেখছে। যেসব ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
অর্থপাচার বন্ধে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এসব পদক্ষেপের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা বা অর্থ পাচার অনেকাংশে কমে যাবে।”
মতামত দিন