তিনি বলেন, ‘একজনের বাড়ি বিক্রি হচ্ছে অথচ দেখানো হচ্ছে না। বিক্রি যেখানে ১০ টাকা, সেটা দেখানো হচ্ছে একটাকা’
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ “কালো টাকা” তথা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত টাকা “সাদা” বা বৈধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, এই টাকাগুলো অর্থনীতির মূলধারায় যুক্ত হওয়ায় অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য এসেছে। আমরা চাই কালো টাকা সাদা হোক। টাকা কালো হওয়ার কারণ নিয়ে অনেকবার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) সিঙ্গাপুরে অবস্থানকারী অর্থমন্ত্রী অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, সোমবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ৭ হাজার ৬৫০ জন ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার কালো টাকা সাদা করেছেন। এর মাধ্যমে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৯৬২ কোটি টাকা। তবে কী পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, সে পরিমাণ জানাননি তিনি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “টাকা পলিসিগত কারণে কালো হয়। অনেকেই ট্যাক্স দেয়, আবার অনেকেই দেয় না। ট্যাক্স রেট বেশি ছিল। ধীরেধীরে ট্যাক্স রেট কমিয়ে আনতে হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আমরা কালো টাকা সাদা করাতে চাই বলে সাদা হলো। বাজেট বক্তৃতায় বলা আছে, আমরা কিছুকিছু ক্ষেত্রে এগুলো অ্যাড্রেস করতে চাই। প্রথমেই আমাদের রেমিট্যান্সে প্রণোদনা চালু করেছি। দেশের জন্য বড় একটি খাত হলো আবাসন খাত। এই আবাসন খাতে স্ট্যাম্প ফি ও ডিউটি বাড়তি থাকার কারণে কোনো রেজিস্ট্রেশন হয় না। ফলে সরকারও কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “একজনের বাড়ি বিক্রি হচ্ছে অথচ দেখানো হচ্ছে না। বিক্রি যেখানে ১০ টাকা, সেটা দেখানো হচ্ছে একটাকা। ১০ টাকার ওপরে গেলে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়, সেজন্য স্ট্যাম্প ডিউটি কমিয়ে দিয়েছি। এরকম যেসব জায়গায় হাত দেওয়া দরকার, সেখানে হাত দিয়েছি। এসব করার কারণেই এখন কালো টাকা সাদা হচ্ছে। যেমন, আমাদের পুঁজিবাজার। এটা সব দেশেই করে।”
গত ছয়মাসের রেমিট্যান্সের চিত্র তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রেমিট্যান্স খাতে গত ছয়মাসে অর্জন হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পুরো বছরে আমাদের ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি আসবে। এই টাকাগুলো পুঁজিবাজারে যাবে।”
মতামত দিন