ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, সরকারের অনুমতি পেলে তারা আগে ক্রয়কৃত পেঁয়াজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে পাঠাবেন। তবে সেই অনুমতি না পাওয়ায় বুধবারও কোনো পেঁয়াজ রপ্তানি করেনি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই যে পেঁয়াজ কেনা হয়েছিল, সেই পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি এখনও পাননি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ফলে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের হিলি বন্দরের ভারতীয় অংশে আটকা পড়া পেঁয়াজ আজও বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, সরকারের অনুমতি পেলে তারা আগে ক্রয়কৃত পেঁয়াজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে পাঠাবেন। তবে সেই অনুমতি না পাওয়ায় বুধবারও কোনো পেঁয়াজ রপ্তানি করেনি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালু থাকলেও বুধবার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ভারত থেকে কোনো পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেনি।
তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বন্দরের ভারতীয় অংশে ২৫০টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে। একইসঙ্গে দশ হাজার টনের মতো পেঁয়াজের এলসি দেওয়া ছিল, যার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে তারা।
আরও পড়ুন - বাণিজ্যমন্ত্রী: দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ আছে
হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, “মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আমাদের জানান, আটকে পড়া ও আগের এলসিকৃত পেঁয়াজ বুধবার পাঠানো হবে। সে মোতাবেক আমরা সকল প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলাম, কিন্তু আজ (বুধবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সময় থাকলেও তারা কোনো পেঁয়াজ রপ্তানি করেনি।”
তিনি বলেন, “আমরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছিলা। তারা আমাদের জানিয়েছে, আজ পূর্বের এলসির টেন্ডারকৃত পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি, তাই পেঁয়াজও রপ্তানি করতে পারেননি। তবে আগামীকাল সেই অনুমতি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) টেন্ডারকৃত পেঁয়াজ আসতে পারে।”
এর আগে, ভারতের হিলির সিএন্ডএফ এজেন্ট শংকর দাস বলেন, “পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিতে পারে এমন কথা শোনা যাচ্ছে তবে এখন পর্যন্ত কাস্টমসের ও সরকারি কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। তবে অনুমতি হতে পারে, তবে না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কী হতে পারে। কারণ এর আগের বার যখন রপ্তানি বন্ধ করে দিলো, তখনও এমন শোনা যাচ্ছিলো অনুমতি দিবে দিবে, কিন্তু সর্বশেষ কোনো অনুমতি মিলেনি। যার কারণে কোনো পেঁয়াজ রপ্তানি হয়নি।”
আরও পড়ুন - ভারতের নিষেধাজ্ঞার আগে কেনা পেঁয়াজ হিলিতে আসতে পারে আজ
মতামত দিন