জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আরেক ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আরেক ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য বাদী হয়ে জামালপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম সরকার জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম সরকার ওই নারী ইউপি সদস্যকে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের লোভ লালসা ও বিবাহের প্রলোভনে নানা ভাবে উত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিতো। তবে সব সময়ই তা প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন ভুক্তভোগী। গত ২৭ সেপ্টেম্বর একটি জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য ইউপি মেম্বার রহিমের সাথে কথা বলতে যান ওই নারী সদস্য। তাকে পরের দিন সকালে অফিসে আসতে বলেন তিনি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ওই নারী সদস্য পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে থাকা ইউপি সদস্য আব্দুর রহিমের সাথে জন্ম সনদের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নারী সদস্য বাথরুমে প্রবেশ করতে যান। এ সময় দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ওই নারী সদস্যকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন আব্দুর রহিম। পরে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
তাৎক্ষনিক ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক তালুকদারকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন ওই নারী সদস্য। চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক তালুকদারের বিষয়টি কাউকে না জানানোর অনুরোধ করে সঠিক বিচারের আশ্বাস দেন। পরে চেয়ারম্যানের কাছে এ ঘটনার উপযুক্ত কোনো বিচার না পেয়ে রবিবার (৩ অক্টোবর) জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর আইনজীবী মোকাম্মেল হক বলেন, “মামলা দায়েরের পর আদালত তার ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট ও মামলাটি তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন।”
অভিযুক্ত আব্দুর রহিম সরকার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার সাথে শত্রুতা করে সে আমায় ফাঁসাচ্ছে।”
এ ঘটনার বাট্টজোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার অফিসে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি নিয়মিত অফিস করি এ ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আমি জানতাম’। বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, আমার কাছে কেউ এ ধরণের কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি কোর্টে নাকি মামলা হয়েছে।
মতামত দিন