কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের মাধ্যমে সেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নিয়ে যাওয়া হবে। অক্টোবর মাস থেকে শুরু আগামি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে। এজন্য কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের মাধ্যমে সেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সাথে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর সাথে চুক্তি হওয়ার পর ভাসানচরে ১ লাখ রোহিঙ্গার মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে ভাসানচরে যুক্ত হলো জাতিসংঘ
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মো. রেজওয়ান হায়াত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর শিগগিরই শুরু করা হবে।
এর আগে সরকার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ওপর থেকে চাপ কমাতে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত ছয় দফায় ১৮ হাজার ৫২১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু আট হাজার ৭৯০ জন। নারীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ৩১৯ জন ও পুরুষের সংখ্যা চার হাজার ৪০৯ জন।
এদিকে, ভাসানচরে থাকা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের চুক্তি সই হয়েছে।শনিবার (৯ অক্টোবর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও সরকারের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিকদের খাদ্য ও পুষ্টি, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, চিকিৎসা, মিয়ানমার কারিকুলাম ও ভাষায় এফডিএমএনদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকায়নের ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের সঙ্গে এ কাজে সহায়তা করবে ইউএনএইচসিআর।
মতামত দিন