দুই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তারা
গাজীপুরে মহানগরের চান্দানা এলাকা থেকে নূরে আলম (২২) নামে এক তরুণের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন তার স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাত ১১টায় ওই এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর মেট্রাপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক খসরু ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃতের বড় বোন ময়না আক্তার জানান, প্রায় দুই বছর আগে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার খলিল মিয়ার মেয়ে আমেনা বেগমকে (১৯) প্রেম করে বিয়ে করে তার ভাই নূরে আলম। বিয়ের পর থেকে তারা বাসা ভাড়া নিয়ে চান্দনা এলাকায় থাকতেন এবং দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। সে কারণে উভয় পরিবারের সম্মতিতে গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে নূরে আলম ওই কারখানার চাকরি ছেড়ে আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন।
বাড়ির মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার কারখানার কাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টায় বাসায় ফেরেন। কিছুক্ষণ পরেই বোরকা ও হাত-পায়ে মোজা পরা এক ব্যক্তি তার ঘরে ঢুকে স্টিলের দরজা বন্ধ করে দেয়।
দীর্ঘক্ষণেও দরজা না খুললে বাড়ির মালিক মিস্ত্রি ডেকে স্টিলের দরজা কেটে ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় নূরে আলমের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এ সময় ঘরের মেঝেতে আমেনা বেগমকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, নূরে আলমই বোরকা ও হাত-পায়ে মোজা পরে আমেনার ঘরে ঢুকেছিলেন।
বাসন থানার ওসি আব্দুল মালেক খসরু জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেটি তার স্ত্রীকে মারধর করে মৃত ভেবে সে নিজে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মতামত দিন