নিহত জিয়াউল হক জিকু পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে
পিরোজপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জিয়াউল হক জিকু (৪৭) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ শুক্কুর নামের একজনকে আটক করেছে।
নিহত জিয়াউল হক জিকু পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। জিকু পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ নামাজপুর এলাকার দলিল উদ্দিন খানের ছেলে।
জিয়াউল হক জিকু স্ত্রী লিমা আক্তার জানান, তার স্বামীর সঙ্গে তার ভাতিজা মামুনের আর্থিক লেনেদেন ছিল। দুই দিন আগে ভাতিজা মামুনের কাছে টাকা চাইলে জিকুর সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এসময় মামুন তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে জিকু বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে জেলা পরিষদ মার্কেটের কাছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালানো হয়। আহত অবস্থায় জিকুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লিমা আক্তার বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জসিম জানান, নিহত জিয়াউল হক জিকু পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরদ্ধে ১০ থেকে ১২টি মাদক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সে কিছু মামলায় খালাস পেয়েছে। কিছু মামলা বিচারাধীন।
তিনি বলেন, “নিহত জিয়াউল হক জিকুর পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসায়ী।”
মতামত দিন