বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্থানীয়ভাবে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশ কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করবে এবং দেশের চাহিদা পূরণের পর সেগুলো রপ্তানি করবে।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্থানীয়ভাবে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
গত এপ্রিল মাসে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিনের উৎপাদনের নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়।
পরে আগস্টে, সরকার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের যৌথ উৎপাদনে চীনের সিনোফার্ম এবং স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে এক দিনে প্রায় ৮০ লাখ মানুষের টিকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে জাহিদ মালেক মন্তব্য করেন যে, টিকাদানের ক্ষেত্রে অনেক দেশ এখনও এই ধরনের মাইলফলকে পৌঁছতে পারেনি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ দ্রুতই টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষে উঠতে সক্ষম হবে।
তিনি জানান, সরকার এখন পর্যন্ত কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন কিনতে প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, যত খরচই হোক না কেন, বাংলাদেশের সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।”
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতামত দিন