বুধবার রাতে গাজীপুরে ওই যুবকের বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় গলা কেটে প্রেমিকাকে হত্যার পর প্রেমিক যুবক নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে ওই যুবকের বাড়ি থেকে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওসার আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলো, কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের মৃত সমর গমেজের ছেলে হৃদয় গমেজ (২৫) এবং একই উপজেলার বান্দাখোলা গ্রামের স্বপন রোজারিও’র মেয়ে ইভানা রোজারিও (২২)। এদের মধ্যে হৃদয় ব্র্যাক এনজিওতে চাকুরি করতো এবং ইভানা নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী ছিল।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম জানান, হৃদয় ও ইভানার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হৃদয়কে বাড়ি রেখে তার মা ও চাচা জমির দলিল করতে কালীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে যান। সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফিরেন। এসময় হৃদয়ের মা ভেতর থেকে ঘরের দরজা জানালা আটকানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি ডাকাডাকি করেও হৃদয়ের কোন সাড়া শব্দ পান নি। তবে ঘরের ভেতর উচ্চ শব্দে মিউজিক বাজছিল। একপর্যায়ে প্রতিবেশীরা উঁকি দিয়ে ঘরের ভেতরে ইভানা ও হৃদয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। ইভানার লাশের ওপর ছুরি হাতে হৃদয়ের লাশ পড়ে ছিল।
তিনি আরও জানান, নিহত ইভানার গলায়, ঘাড়ে ও গালে এবং হৃদয়ের পেটে ছুরিকাঘাতের একাধিক (১০টি) চিহ্ন রয়েছে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতির সুযোগে প্রেমিকা ইভানাকে ঘরে ডেকে এনে তাকে গলা কেটে ও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হদয়। পরে নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যা করে সে। বাইরের লোকজন যাতে কোনো শব্দ শুনতে না পায় সেজন্য ঘরের দরজা জানালা আটকিয়ে জোরে গান ছাড়া ছিল।
এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মতামত দিন