কারাগারে নেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকা হলে সুযোগ পেয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়
চট্টগ্রামের আদালত থেকে পালিয়ে গেছেন চেক জালিয়াতি মামলায় সাজাভুক্ত এক আসামি।
সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ খায়রুল আমিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত আবুল হাসেম মাঝি পেশায় ঠিকাদার। তিনি শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আবুল হাসেম মাঝিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বিচারক তাকে বিনা প্যারোলে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। এ সময় তার জামিন বাতিল করে এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু রায় ঘোষণার পরপরই অভিযুক্ত নিখোঁজ হন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুদ্দিন পারভেজ ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, চেক রিজেকশন মামলায় বিচারক সাজা ঘোষণার পর অভিযুক্তকে কারাগারে নেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকা হলে সুযোগ পেয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
জেলা পুলিশ আদালতের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, জেলা পুলিশের অধীনে ৪৮টি ইউনিট রয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সবসময় আদালতে সক্রিয় থাকেন।
তিনি জানান, সোমবার কোনো আসামি পালানোর তথ্য আমরা পাইনি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আবুল হাসেম মাঝি বিভিন্ন ইটভাটায় ঠিকাদারি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়ার কাজ করেন। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেসার্স ছায়া ব্রিক ফিল্ডের মালিক মো. কাশেমের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন।
কাশেমের কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা নেন অভিযুক্ত হাসেম মাঝি। কিন্তু পরবর্তীতে শ্রমিক ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় টাকা ফেরতের দাবি করেন মো. কাশেম।
এরপর, ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল, অভিযুক্ত হাসেম মাঝি নোয়াখালীর খলিফার হাট সোনালী ব্যাংকের শাখায় নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ২২ লাখ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন মো. কাশেমকে।
কিন্তু, চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করা হয়েছিল, চেকটি বাতিল (রিজেক্টেড) করে দেয় ব্যাংক। জানা যায়, অভিযুক্তের ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দুই বছর আগেই (২০১৭ সালের ২৬ জুন) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই আসামিকে আইনি নোটিশ দেওয়ার পর একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার শীল জানান, দুপুরে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। তখনও অভিযুক্ত আদালতে ছিল। কিন্তু রায় ঘোষণার কোনো এক ফাঁকে তিনি আদালত থেকে পালিয়ে যান।
মতামত দিন