পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরযাত্রী এবং কনের অভিভাবকরা পালিয়ে যান
জামালপুরের বকশীগঞ্জে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে একটি কিশোরী (১৫)। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর “৯৯৯”-এ খবর পেয়েই বিয়েবাড়িতে যান পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর যাত্রীসহ কন্যার অভিভাবকরা পালিয়ে যান।
পরে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা বিয়েবাড়িতে গিয়ে কনের বাবাকে ডেকে এনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মুচলেকা নেন। এ ঘটনায় পুরো বকশীগঞ্জে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নে ধারারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কামালেরবার্তী পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে ওই কিশোরীকে একই ইউনিয়নের টালিয়াপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। পরে ৯৯৯ ফোন দেয় স্থানীয় এক ব্যক্তি। ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় উভয়পক্ষ। এতে পণ্ড হয়ে যায় বাল্যবিবাহ।
তবে প্রশাসনের জরিমানার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুনমুন জাহান লিজা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন- ২০১৭ অনুযায়ী জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মতামত দিন