সোহেলী শাহরিয়ার নামে এক ব্যক্তি দুই জোড়া ইলিশ কিনেন ১১ হাজার ৪০০ টাকায়। সাড়ে তিন কেজি ওজনের এক জোড়া ইলিশের দাম নিয়েছে ৫ হাজার ৭০০ টাকা
ইলিশ আহরণ এবং বিক্রি রবিবার দিনগত মধ্য রাত থেকে ২২ দিনের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। তাই সন্ধ্যার পর থেকে খুলনার বিভিন্ন বাজারে ইলিশ কিনতে ভিড় করেন ক্রেতারা। জোড়াকল বাজার ও সান্ধ্য বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ইলিশ বিক্রি শুরু করেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকেই খুলনা মহানগরীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। তাই লোকজনের চলাচলও কমে যায়। বৃষ্টি থামতেই বিভিন্ন বাজারে ইলিশ কিনতে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
সোহেলী শাহরিয়ার নামে এক ব্যক্তি দুই জোড়া ইলিশ কিনেন ১১ হাজার ৪০০ টাকায়। সাড়ে তিন কেজি ওজনের এক জোড়া ইলিশের দাম নিয়েছে ৫ হাজার ৭০০ টাকা। তিনি বলেন, “স্বাভাবিক সময়ে এ রকম ইলিশ সাধারণত বাজারে পাওয়া যায় না, তাই সুযোগ হাত ছাড়া করিনি।”
জোড়াকল বাজারে ইলিশের সরবরাহও ছিল বেশি। এখানে ৪ থেকে ৫টি ইলিশে কেজি হয় এমন সাইজের ইলিশ ৩০০-৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
সান্ধ্য বাজারের মাছ বিক্রেতা মুরাদ হোসেন গাজী জানান, সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি হওয়ার ফলে ক্রেতা কম আসছে। তেমন ক্রেতা না আসায় লসে বিক্রি করছেন।
মাছ বিক্রেতা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় পৌনে চার লাখ টাকার মাছ বাজারে এনেছেন তিনি। দাম সহনীয় হলে অনেকে নিয়ে যেতেন। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ৯০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ১০০ টাকা, পৌনে দু’কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।
মাছ বিক্রেতা মো. পান্না জানান, দাম বেশী হওয়ার কারণে অনেকে বড় মাছ ক্রয় করতে পারছেন না। আবার অনেকে মাছের দাম শুনে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
মিস্ত্রীপাড়া বাজারের বিক্রেতা মৃত্যুঞ্জয় বলেন, “আধা কেজি ও ৩০০ গ্রাম সাইজের প্রায় ২ মণ ইলিশ মাছ বাজারে এনেছিলাম। কিন্তু দাম দরে না মেলায় আধা মণ মাছ ধরা রয়েছে।”
মতামত দিন