পেশায় যৌনকর্মী ওই নারীর অভিযোগ, কৌশলে তার কাছ থেকে ব্যবসা ও রাজনীতির কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নেন অভিযুক্ত
সন্তানের পরিচয় এবং প্রতারণার করে নেওয়া অর্থ ফেরতের দাবিতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এলাকার এক নারী। অভিযুক্ত জুলহাস মোল্লা দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। যদিও সম্প্রতি তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর জুলহাসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী
নিজেকে একজন যৌনকর্মী পরিচয় দিয়ে ওই নারী অভিযোগ করেন, তিনি ১০ বছর আগে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আসেন। সেখানকার উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ভালোভাবে জীবন-যাপন করছিলেন। স্থানীয় প্রভাবশালী জুলহাস মোল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে বিয়েও করেন তাকে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিয়ের এক বছরের মাথায় তাদের একটি ছেলে সন্তান হয়। এরপর নানা কৌশলে জুলহাস মোল্লা তার কাছ থেকে ব্যবসা ও রাজনীতির কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নেন। এর কিছু দিন পর তার ওপর অত্যাচার শুরু করে যৌতুক দাবি করেন জুলহাস। এক সময় ওই নারীকে জোরপূর্বক তালাক দেন।
ফলে বাধ্য হয়ে আবার জীবিকার তাগিদে যৌনপল্লীতে ফিরে যান ভুক্তভোগী।
ওই নারী অভিযোগে জানান, এতদিন জুলহাসের ক্ষমতার কারণে কোনো অভিযোগ করার সাহস পাননি। তাকে পদ থেকে বহিষ্কার করার পর অভিযোগ করার সাহস পান।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জুলহাস মোল্লা। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসাতে এ অভিযোগ করিয়েছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ইউনুছ হোসেন মোল্লা জানান, তাদের কাছে এক যৌনকর্মী জুলহাস মোল্লার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। দলের পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মতামত দিন