শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ সেলিম ও শওকত উল্লাহকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দুজনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রবিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম ও শওকত উল্লাহকে আদালতে তোলা হয়।
কক্সবাজার কোর্ট পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার দুই আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন - পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুহিবুল্লাহ হত্যায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না
এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম ও শওকত উল্লাহকে পুলিশ আটকের পর আদালতে সোপর্দ করে এবং ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের নুর বশরের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিম ও একইদিন বিকালে কুতুপালং ৩ নম্বর ক্যাম্পের রহিম উল্লাহর পুত্র শওকত উল্লাহকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। চারজনের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন “এপিবিএন” সদস্যরা শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিম ও শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাতে রোহিঙ্গা জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করা হয়। অপরদিকে উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার বিকেলে রোহিঙ্গা শওকত উল্লাহকে আটক করে উখিয়া থানার পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। এসময় ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে সে ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে মৃতদেহটি হস্তান্তর করে।
মতামত দিন