স্বাধীন দেশে এখনও হরিজনদের পেশার কারণে লাঞ্ছিত ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে
বাংলাদেশ গেজেটে হরিজন সম্প্রদায়ের নাম অন্তর্ভুক্তি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুইপার নিয়োগে সরকার ঘোষিত ৮০% কোটা কার্যকরসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরে শত শত হরিজন সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ ও শিশুরা মিছিল এবং সমাবেশ করেছে।
হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন রংপুরের উদ্যেগে আয়োজিত এ সমাবেশে রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার কয়েকশ হরিজন অংশ নেয়।
এর আগে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর টাউন হল চত্বর থেকে হরিজনরা দশ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবারও টাউন হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাশফোরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নারী নেত্রী ইরা হক, মৌসুমী সরকার রীতা, হরিজন নেতা লিটন বাশফোর, সরৎ বাশফোর, খুমরি লালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে হরিজন সম্প্রদায় অভিযোগ করে বলেন, “দেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে অথচ দীর্ঘ ৫০ বছরেও পিছিয়ে পড়া হরিজন সম্প্রদায়ের নাগরিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। স্বাধীন দেশে এখনও হরিজনদের পেশার কারণে লাঞ্ছিত ও বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে।”
এসময় তারা ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হল- বাংলাদেশ গেজেটে হরিজন জনগোষ্ঠির নাম অন্তর্ভুক্তি এবং সরকারিভাবে হরিজনদের পরিসংখ্যান ও তথ্য সংগ্রহ করা, পুর্নবাসন না করে হরিজনদের বস্তি থেকে উচ্ছেদ না করা। তাদের সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে দলিল হস্তান্তর করা। সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুইপার নিয়োগে সরকার ঘোষিত ৮০% কোটা কার্যকর করা, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হরিজনদের মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ উপাধি প্রদান।
এছাড়া অবিলম্বে বৈষম্য বিলোপ আইন ২০১৪ প্রণয়ন, সরকারি সকল চাকুরি ক্ষেত্রে হরিজনদের জন্য বিশেষ কোটার ব্যবস্থা করা, দেশের সকল সিটি করপোরেশনে হরিজনদের স্থায়ী চাকুরি প্রদান, নুন্যতম মজুরী ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ, উৎসব বোনাস অবসর ভাতা প্রদান, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে হরিজন শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বিশেষ কোটা বরাদ্দ করা এবং হরিজন জনগোষ্ঠির জন্য বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
মতামত দিন