পরিবহনে যাত্রী তুলে দিতেও ভাড়ার অর্ধেক পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে আদায় করা হচ্ছে
গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মোড়ে প্রকাশ্যেই চলছে পরিবহন চাঁদাবাজি। এমনকি পরিবহনে যাত্রী তুলে দিতেও ভাড়ার অর্ধেক পরিমাণ টাকা কমিশন হিসেবে আদায় করা হচ্ছে। ফলে, গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাস মালিকরাও।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন পরিবহন ব্যবসায়ী ও চৌধুরী পরিবহনের চেয়ারম্যান জুবায়ের হোসেন জনি।
আবেদনে জুবায়ের হোসেন জনি উল্লেখ করেন, গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মোড়ে গোপালগঞ্জ বাস মালিক সমিতির উন্নয়ন ফিসের নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদার টাকা না দিলে বাসের সুপারভাইজারকেও মারধর করা হচ্ছে।
এছাড়া, প্রতি বাসে যাত্রী তুলে দিয়ে ভাড়ার অর্ধেক টাকা কমিশন হিসেবে কেটে রাখে দুর্বৃত্তরা। ফলে পরিবহন ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা চাঁদাবাজ চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
নার্গিস সুলতানা, ওমর আলী, শাহাবুদ্দিন মোল্লা নামে কয়েকজন বাসযাত্রী ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “পুলিশ লাইন্স থেকে বাসে ওঠার সময় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। কখনও কখনও বাকবিতণ্ডা হলে যাত্রীদেরকেও মারধর করা হচ্ছে।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাস মালিক বলেন, “এখানে চাঁদাবাজির নামে চলছে জুলুমবাজি। গাড়ি প্রতি ২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদা না দিলে গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে মালিক সমিতির চাঁদা আদায়কারী হাবিব বলেন, “জনির সঙ্গে গোপালগঞ্জ ও মাওয়ার গাড়ি চলাচল নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তাই তার ও আমাদের মালিক সমিতির গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে গাড়ি চলাচল পুনরায় চালু হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “বাংলাদেশের সব জেলায়ই মোটর মালিক ও শ্রমিক চাঁদা আছে। তার ধারাবাহিকতায় আমরাও কিছু উন্নয়ন ফিস আদায় করছি।”
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মতামত দিন