বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। শুক্রবার (১অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি। বিবৃতিতে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় গভীর দুঃখ এবং বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমরা এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে তার মৃত্যুর পূর্ণ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানাই। যার লক্ষ্য হবে এই ঘৃণ্য অপরাধে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা। রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ চালিয়ে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো অব্যাহত রাখবো।’’
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড: এক সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
২০১৯ সালে মুহিবুল্লার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করার কথা তুলে ধরে অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানান, ‘‘মিনিস্টারিয়াল টু অ্যাডভান্স রিলিজিয়াস ফ্রিডম’’ ইস্যুতে মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। সে সফরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছিলেন।
এছাড়া, সারা বিশ্বে রোহিঙ্গা মুসলমানের মানবাধিকার রক্ষায় সাহসী এবং জোরালো যোদ্ধা হিসেবেও মুহিবুল্লাহর নাম উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ ‘‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইতোমধ্যেই তার হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মামলা
উল্লেখ্য, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর অফিসের বাইরে ৫ রাউন্ড গুলি করে। ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে যান। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘‘এমএসএফ’’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে উখিয়া থানা পুলিশকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
মতামত দিন